কলকাতা: বেহালার (behala) চৌরাস্তায় রাস্তার পাশের বাজারে আগুন লেগে পুড়ে গেল প্রায় ২৪টি দোকান। পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, আজ ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ আগুন লাগে। তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশাপাশি বিভিন্ন সামগ্রীর দোকানে। দমকলের ৪-৫টি ইঞ্জিন বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাজারের পাঁচিলের পিছনেই একটি স্কুল বাড়িরও আংশিক ক্ষতি হয়েছে। বীরেন রায় রোড পূর্বে এই ঘটনা ঘটেছে।  কী থেকে আগুন লাগল, তা এখনও পরিষ্কার নয়।  


রাজ্যের অন্য প্রান্তে, গতকাল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি সুপার মার্কেটে (Dhupguri Super Market) আচমকাই বিধ্বংসী আগুন (Fire)৷ ভস্মীভূত ১২টি দোকান। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কী কারণে আগুন লাগে, সেটা এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনা খতিয়ে দেখছেন দমকল ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, আচমকাই ধূপগুড়ি সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দেখতে পান, রেগুলেটেড মার্কেটের অফিসের পাশেই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। নিমেষের মধ্যে পাঁচটি গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যায়। এর ফলে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। পাশেই চলছিল দোলের মেলা। এই মেলায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। 


কলকাতাতেও সম্প্রতি একাধিক জায়গায় আগুন লাগে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বাঁশদ্রোণীর এইচ এল সরকার রোডে একটি সুতোর কারখানায় আগুন লাগে। দাহ্য বস্তু থাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা কারখানাটি। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর ও বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন গিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 


এর আগে গত ৫ মার্চ ট্যাংরা থানা এলাকার ডি সি দে-রোডে প্রথমে একটি প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন লাগে। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে পাশের কাগজের গোডাউনেও। দাহ্য বস্তু থাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের চারটি ইঞ্জিন। প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রায় ভস্মীভূত হয়ে যায় দু’টি গোডাউন।