কলকাতা: বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ড, প্রতিবাদে বিজেপি। শহরে পর পর অগ্নিকাণ্ড, জোড়াসাঁকো থানায় প্রতিবাদ বিজেপির। বিজেপি সদর দফতর থেকে জোড়াসাঁকো থানা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল বিজেপির। জোড়াসাঁকো থানার বাইরে বিক্ষোভ বিজেপির। ব্যারিকেড করে বিজেপির মিছিলে বাধা পুলিশের।

আরও পড়ুন, ''শাঁখা সিঁদূর পরেছিস কেন ? খুলে ফেল..'' উদাহরণ টেনে বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর, 'মুর্শিদাবাদ ও কাশ্মীর কোথাও যেনও একাকার' !

বেঘোরে চলে গেছে ১৪ জনের প্রাণ। বড়বাজারের হোটেলে এতবড় অগ্নিকাণ্ড ঘটে যাওয়ার পর, এবার সামনে আসছে একের পর বেনিয়মের অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এতদিন পুরসভা কী করছিল? পুলিশ কী করছিল? দমকল কী করছিল? এদিন, জোড়াসাঁকো থানা অভিযান করে বিজেপি। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মীদের। মানুষ এখানে আশ্রয় নিতে এসেছিল, বড়বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে চলে গেছে ১৪ জনের প্রাণ! এতগুলো মানুষ আগুনে দমবন্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পর, জানা গেছে, হোটেল কর্তৃপক্ষ দমকলের ছাড়পত্র রিনিউ-ই করায়নি> ঘরের মধ্য়ে না কি তৈরি করা হয়েছিল ঘর।

অভিযোগ, অবৈধভাবে তৈরি করা হচ্ছিল ডান্স ফ্লোর, আর এখানেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী করছিল কলকাতা পুরসভা, কী করছিল পুলিশ, কী করছিল দমকল? প্রদেশ কংগ্রেস প্রাক্তন সভাপতি  অধীর চৌধুরী বলেন, আপনার (মুখ্য়মন্ত্রী) তো প্রথম উচিত ছিল, কলকাতার মেয়রকে চেয়ার থেকে নামিয়ে দিয়ে বলা, তোমার অপদার্থতার জন্য় আগুন লাগল, মানুষ মরল, তুমি আর পদে থাকার যোগ্য় নও, বলতে তো পারছেন না। সকলের চোখের সামনে একটা হোটেলওয়ালা মনে করল, আর বেনিয়ম করে অনিয়ম করে, যা খুশি তাই করতে পারে এটা কি আমরা মেনে নেব? '

এর আগে বৃহস্পতিবার বড়বাজার পৌঁছে হোটেল কর্তৃপক্ষের ওপর যাবতীয় দায় চাপিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। মুখ্য়মন্ত্রী  মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেছিলেন, সবসময় ইমার্জেন্সিতে অলটারনেটিভ থাকা উচিত। ইমার্জেন্সিতে যারা অল্টারনেটিভ রাখে না, তাদের কি ক্ষমা করা উচিত?'প্রশাসন কি এটা আগে জানত না? সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,  প্রশাসন... সব কিছু কি প্রশাসন? যার যার ইচ্ছেমতো করে নিচ্ছে। আর কলকাতা কর্পোরেশন, পুলিশ, দমকল FIR করলেও, নোটিস দিলেও ব্যবস্থা হচ্ছে না।  আমরা তো চাই না যে সবাই গ্রেফতার হোক, আমরা চাই বিকল্প ব্যবস্থা করুক। প্ল্যানটা তৈরি করুক মানুষের জীবন বাঁচানোর। শুধু ব্যবসা আর টাকা! একটা মানুষের জীবন গেলে আমি ছাড়ব না। 

বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার জোড়াসাঁকো থানা ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেয় উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপি। থানার সামনে পৌঁছতেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। মুখ্য়মন্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনেই তাঁকে খোঁচা দেয় বিজেপি। মুখ্য়মন্ত্রী  মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন,'ইমার্জেন্সিতে যারা অল্টারনেটিভ রাখে না, তাদের কি ক্ষমা করা উচিত? কোথাও কোথাও আমি কিন্তু ভীষণ টাফ।'  বিজেপি নেতা  তাপস রায় বলেন,' এই ঘটনা আবার ঘটবে এবং মুখ্যমন্ত্রী এসে হাস্যকর কিছু কথা, আমি টাফ, আমি রাফ, এই কথা কে শুনতে চেয়েছে, তুমি কাজে প্রমাণ কর, তুমি রাফ অ্যান্ড টাফ। এই কথা বাংলার মানুষ বহু বছর ধরে শুনছেন।' বৃহস্পতিবার বড়বাজারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পার্ক স্ট্রিটের কয়েকটি হোটেল-রেস্তোরাঁ ও কমপ্লেক্সে আচমকা পরিদর্শনে যান মুখ্য়মন্ত্রী। রুফ টপ রেস্তোরাঁগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও  প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।