কলকাতা: ট্যাংরায় (Tangra) চামড়ার গুদামে (Leather Warehouse) ভয়াবহ আগুন। রেক্সিন, ফোম, কাপড়ের গুদামে আগুন। ঘটনাস্থলে দমকলের (Fire Brigade) ৭টি ইঞ্জিন। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে সমস্যা। কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। গুদাম সংলগ্ন বাড়িগুলি ফাঁকা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগুনের ভয়াবহতায় ভাঙে গুদামের চালও। দমকল দেরিতে এসেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।


ভরসন্ধেয় ফের অগ্নিকাণ্ড শহরে। এদিন সন্ধে নাগাদ হঠাৎই আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। ট্যাংরার (Tangra) গুদামের পাশেই রয়েছে বসতি অঞ্চল। প্রাথমিকভাবে গুদামে আগুন লাগলেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের বাড়িতেও। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগুন লাগার এক ঘণ্টা পর দমকল ঘটনাস্থলে আসে। প্রাথমিকভাবে ৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। আগুন নেভাতে সামিল হন স্থানীয়রাও। তবে কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। 


এদিকে এদিন সকালে ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে গেস্ট হাউসে আগুন লাগে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক বাংলাদেশি মহিলার মৃত্যু হয়। ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আরও ২ বাংলাদেশি নাগরিক। আজ ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ওই গেস্ট হাউসে আগুন লাগে। ১১টি ঘর ভস্মীভূত হয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতায় চিকিত্সা করাতে আসা ২৮ জন বাংলাদেশি ওই গেস্ট হাউসে ছিলেন। দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে বেরিয়ে আসেন। পরে দমকলের ৩টি ইঞ্জিনের একঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঝলসে, দমবন্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৬০ বছরের শামিমাতুল বেগমের। তিনি বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জের বাসিন্দা। গেস্ট হাউসে যান ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকলের। সূত্রের খবর, বাংলাদেশি মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত দেহ ফেরানোর ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ হাই কমিশন। 


আরও পড়ুন: Hooghly: নদীগ্রাসে মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয়, ভাঙনে ভিটেছাড়া পরিবার