সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : ঘড়ির কাঁটায় তখন ঠিক সাড়ে ছ'টা। একের পর এক গুলির আওয়াজে কেঁপে উঠল পার্ক স্ট্রিট (Park Street)। জাদুঘর-বিধায়ক মিউজিয়ামের ঠিক পাশে সিআইএসএফের (CISF) ব্যারাকে এলোপাথাড়ি একের পর এক গুলি। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখান থেকে কার্যত প্রাণভয়ে বেরিয়ে এলেন সন্ধেয় ব্যারাকে থাকা প্রায় শ'খানেক সিআইএসএফ জওয়ান। তাঁদেরই এক সহকর্মী তথা কনস্টেবল পদমর্যাদার সিআইএফএফ একে ৪৭ থেকে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়েন তাঁদের উদ্দেশে। ঠিক কতজন জওয়ান আহত, এখনও পর্যন্ত নেই নিশ্চিত খবর। তবে একজন হেড কনস্টেবল ও আর একজন এএসআইকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। হেড কনস্টেবলের শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক।
তবে সবথেকে আশঙ্কার খবর হল, যে সিআইএসএফের কনস্টেবল হামলা চালিয়েছেন, তিনি এই মুহূর্তে ঠিক কী অবস্থায় রয়েছেন, সেই নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি সিআইএসঅফের পক্ষ থেকে। তিনি এখনও ব্যারাকের মধ্যেই রয়েছেন এবং সশস্ত্র অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলেই খবর। গোটা এলাকা কড়া পুলিশি প্রহরায় ঘিরে ফেলার হয়েছে। বুলেটগ্রুফ জ্যাকেট পরে কমান্ডোরা ঢুকতে শুরু করেছে ব্যারাকে। জানা যাচ্ছে, ব্যারাকে ঢুকে সেই কনস্টেবলে ধরার অপারেশন শুরু করতে চলেছে পুলিশ। কমান্ডো। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল।
সিআইএসএফ সূত্রে খবর, দু’ভাবে হামলাকারীকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা চলছে। প্রথমে মাইকিং করে আত্মসমর্পণ করতে বলা হবে। তার পর তিনি ঠিক কোথায় রয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা করা হবে। সেই মতো সন্তর্পণে এগোবে সশস্ত্র বাহিনী। বেশ কিছুক্ষণ ধরে অপারেশন চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও এসে পৌঁছেছেন ঘটনাস্থলে। ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে আনা হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আলো। যাতে ভিতর পর্যন্ত দেখা যায়।
আরও পড়ুন- ভর সন্ধেয় পার্কস্ট্রিটে শ্যুটআউট! সতীর্থকে লক্ষ্য করে গুলি CISF জওয়ানের