শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: ভর সন্ধেয় পার্ক স্ট্রিটে জাদুঘর (Park Street Shootour) এবং বিধায়কদের হস্টেলের থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে শ্যুটআউট! পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ আসে প্রথমে। পরে জানা যায় সিআইএসএফ-এর (CISF Jawan) এক জওয়ান গুলি চালিয়েছেন। পুলিশের গাড়ির সামনের কাচেও গুলি লাগে বলে খবর। তাতে আহত গাড়ির চালক-সহ একাধিক পুলিশকর্মী। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে অ্যাম্বুল্যান্স। গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জন নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে একজন  হেড কনস্টেবল এবং অন্যজন এএসআই পদমর্যাদার বলে জানা গিয়েছে। দু’জনেই ‌গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর। যিনি গুলি চালিয়েছেন, তিনিও কনস্টেবল পদমর্যাদার বলে জানা গিয়েছে। তবে হতাহতের সংখ্য়া বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। কারণ পর পর অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকছে ব্যারাকে। কলকাতা পুলিশের বাহিনী এবং সিআইএসএফ-এর সশস্ত্র জওয়ানরা ভিতরে ঢুকছেন।


সূত্রের খবর, সিআইএসএফ-এর কর্তব্যরত এক জওয়ান নিজেরই এক সতীর্থকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিও কর্তব্যরত অবস্থা ছিলেন। আশুতোষ শতবার্ষিকী হলের কাছে সিআইএসএফ-এর ব্যারাকে গুলি চলেছে বলে খবর। একটি বা দু’টি নয়, এলোপাথাড়ি চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কর্তব্যরত বাকি জওয়ানদের কী অবস্থা, জানার চেষ্টা চলছে। কলকাতা পুলিশের আধিকারিক এবং বাহিনী পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে রয়েছেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন: Park Circus : ভর সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিটে জাদুঘরে সিআইএসএফ ব্যারাকে গুলি


সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। সূত্রের খবর, সিআইএসএফ-এর এক জওয়ান অন্য এক জওয়ানকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে সরকারি ভাবে এ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি এখনও। গুলি চালিয়েছেন যে জওয়ান, তিনি এখনও ভিতরেই রয়েছেন বলে খবর। হাতে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে তাঁর। তাঁকে নিরস্ত্র করার প্রক্রিয়া চলছে। 


মাইক নিয়ে ভিতরে ঢুকেছে কলকাতা পুলিশের বাহিনী। হামলাকারী জওয়ানের হাতে এখনও আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। তাঁকে নিরস্ত্র করতে, আত্মসমর্পণ করতেই মাইক আনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আত্মরক্ষায় কলকাতা পুলিশের আধিকারিক এবং সিআইএসএফ জওয়ানদের অনেকে বুলেটপ্রুফ জওয়ান পরে রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। হাতে হেলমেট নিয়েও ভিতরে ঢুকতে দেখা যায় বেশ কয়েক জনকে।


এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে, যাতে লোকালয়ে তার প্রভাব না পড়ে, সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদে থাকেন, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কিড স্ট্রিট-সহ আশেপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভিতরে অত্যন্ত তৎপরতা চোখে পড়ছে।