ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : ভয়াবহ রবিবারের রাত। মুহূর্তে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ বাড়ি (Kolkata Garden Reach Building Collapse )।  মাঝরাতে যেন ভূমিকম্প  গার্ডেনরিচে। পাহাড়পুরে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ বহুতল। ইতি মধ্যেই ২ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গিয়েছে। মারা গিয়েছেন ৪৭ বছরের সামা বেগম ও ৫৫ বছরের হাসিনা খাতুন। বহুতল লাগোয়া টালির চালের বাড়িতে থাকতেন এই দুই মহিলা।

NDRF-এর দাবি, ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও আটকে রয়েছেন ৬ জন। তবে সূত্রের খবর, এঁদের মধ্যে ৫ জনের সাড়া মিলছে না । ১ জনই সাড়া দিচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। সময় যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে আতঙ্ক। কখনও স্তূপের নীচ থেকে মিলেছে সাড়া, কখনও আবার মেলেওনি। আশঙ্কা ঘনিয়েছে, তবে কি, তাঁরা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লেন? তবে কি আরও কোনও খারাপ পরিণতি হয়েছে? 


বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে তাদির কাছে অক্সিজেন পৌঁছানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। দাবি, ফোনো যোগাযোগও হয়েছে আটকে পড়া মানুষদের সঙ্গে। তবে যাঁরা সেখানে আছেন, তাঁদের কজনের সংজ্ঞা রয়েছে, কারা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছেন, কিংবা আরও খারাপ কিছু তাদের সঙ্গে ঘটেছে কি না, তা নিয়ে  দানা বাঁধছে আতঙ্ক। 


বহুতল-বিপর্যয়ে এখনও  পর্যন্ত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এঁদের মধ্যে ৫ জন SSKM হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  বাকি ১০ জনকে স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ ও ১০ বছরের দুই বালক-সহ ৬ জন ICU-তে ভর্তি। 


রবিবার রাতে যখন দুর্ঘটনাটি ঘটে তখন কেউ কেউ অঘোর ঘুমে। কেউ আবার রাতের খাওয়া সারছেন। অনেকেই এই সময় রোজা রাখেন। তাঁরা হয়ত বিশ্রামও নিচ্ছিলেন। হঠাৎই বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে বাড়ি। স্থানীয়দের কথা অনুযায়ী, হঠাৎ যেন ভূমিকম্পের মতো অনুভূতি। তারপর চারিদিকে ধুলোর ঝড় ! 

রাত ৩টে নাগাদ NDRF আসার পর, দ্রুত গতিতে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ২ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রাতভর ঘটনাস্থলেই ছিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। দুর্ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, মেয়র ও পুর-নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সাংসদ মালা রায়।  


আরও পড়ুন :                 


গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে মৃত ২, হাসপাতালে যুঝছেন ১৫ জন