সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: ২৩ ডিসেম্বর, আজ গীতা জয়ন্তী। সেই উপলক্ষে, ঠিক তার পরদিন, রবিবার ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন করেছে অখিল ভারতীয় সংসকৃত পরিষদ, সংস্কৃত সংসদ ও মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রম সহ একাধিক সংগঠন।হবে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ । চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। গীতা পাঠ হবে। ২০টি ব্লকে ভাগ করা হবে জনতাকে। প্রতিটি ভাগে ৫ হাজার করে মানুষ গীতা পাঠ করবেন। ইতিমধ্যেই দূর দূরান্ত থেকে এসেছেন সাধু সন্ন্যাসীরা। তারই মধ্যে আছে কিছু ব্যতিক্রমী মুখও। গীতাপাঠে গলা মেলাবেন ইমান আলি শেখ এবং ফরেজ লস্কররাও।
সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী না হয়েও গীতাপাঠে অংশ নিচ্ছেন এঁরা। বারুইপুরে থাকেন। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ মিলেমিশে থাকেন। তাই বেঁধে বেঁধে থাকায় বিশ্বাসী ইমান , ফরেজরা। বললেন, প্রত্যেক ধর্মের মূল কথা তো একই। তাই ২৪ শে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠে কণ্ঠ দেবেন তাঁরাও। তাঁদের ভাবনায় গীতা কোনও ধর্মগ্রন্থ নয়, জীবন-দর্শনের কথা বলে এই গ্রন্থ। 'এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গেলে যে সেই ধর্মের হতেই হবে এমন তো নয়। যার ভাল লাগবে সেই যাবে। যার ভাল লাগবে সেই শুনবে। আমরা জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সব জায়গায় যেতে ভালবাসি। আপনার ধর্ম আমি কেড়ে নেব না, আমার ধর্ম আপনি কেড়ে নেবেন না। আমার ভাল লাগে, তাই আমি যাব । ' বললেন ইমান আলি শেখ । তিনি আরও বলেন, পুরাণ ও কোরান হিসেব করলে একই কথা বলে। তাই কোনও ধর্মে হস্তক্ষেপে বিশ্বাসী নন তাঁরা। হিন্দুদের যেমন হরিনাম, তেমন আমাদের জলসা, মিলাত। তাই ধর্মকে কাঁটাতার হিসেবে মনে করেন না তাঁরা। বরং আদান-প্রদানেই বিশ্বাসী।
লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের সহ সভাপতি নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারীও বললেন, এটা তো সনাতন ধর্মের কথা। এখানে সবাই স্বাগত। রবিবার ব্রিগেডে তৈরি হবে সর্ব-ধর্ম সমন্বয়ের আরও এক জ্বল জ্বল করা উদাহরণ।
শুক্রবার ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন শুভেন্দু অধিকারী। সংগঠক সাধু-সন্তদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। রবিবারের এই অনুষ্ঠানে গীতার ৫টি অধ্যায় পড়া হবে। থাকবেন, দ্বারকার শঙ্কারাচার্য সদানন্দ সরস্বতী এবং পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দ্বৈতাপতি।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন হোটেল ভাড়া ৭০ হাজার টাকা, অযোধ্যার হোটেল এখন তাজ-ওবেরয়ের চেয়েও বেশি দামি