সমিত সেনগুপ্ত, কলকাতা: দিনভর পুলিশের আনাগোনা। সেই বাড়িতেই কি না ভূতের ভয়? জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের সদর দফতরে অদ্ভূত সব ঘটনার অভিযোগ। কিনারায় নামল ‘ঘোস্ট বাস্টার’। যাদের দলের নাম ডিটেকটিভস অফ সুপার ন্যাচারাল। যদিও শেষমেশ কিছুই মেলেনি।


রুপোলি পর্দায় ঘোস্টবাস্টারদের দেখেছেন দর্শকরা। এবার বাস্তবে অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানার কিনারা করতে ডাক পড়ল কলকাতার ঘোস্টবাস্টারদের। তাদের দলের নাম ডিটেকটিভস অফ সুপার ন্যাচারাল।


শতাব্দীপ্রাচীন সুবিশাল বাড়ি। শোভাবাজার স্ট্রিটে রায় বাড়ি হিসেবেই পরিচিত। বর্তমানে কলকাতা পুলিশের জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের সদর দফতর। দিনরাত পুলিশের আনাগোনা লেগেই থাকে এই বাড়িতে।


অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে কিছু অদ্ভূত কাণ্ডকারখানা ঘটছিল এই বাড়িতে। এর একটা কিনারা করতে জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের অফিসাররা যোগাযোগ করেন একদল যুবক-যুবতীর সঙ্গে। যাদের দলের নাম - ডিটেকটিভস অফ সুপার ন্যাচারাল।


দলের সদস্য ঈশিতা দাস সান্যাল বলেন, কলকাতা পুলিশ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের সাহায্য চায়। কেউ রাতের অন্ধকারের ছোট বাচ্চা দেখতে পাচ্ছে, কেউ ভাবছে তার ঘাড়ের উপর কেউ চেপে বসেছে। 


পুরনো এই বাড়িতে কী ঘটছে, তা খুঁজে বার করতে বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্য নেন ঘোষ্টবাস্টারের সদস্যরা। তার মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক ফিল্ড ডিটেক্টর, সাউন্ড রেকর্ডার, এক্সটার্নাল থার্মোমিটার, প্যারাবোলিক থার্মোমিটার, লেজার গ্রিড, মোশন সেনসরের মতো যন্ত্র।


শেষমেশ অবশ্য কিছুই মিলল না। জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের তরফে জানানো হয়েছে, রাতে যে সমস্ত পুলিশকর্মীরা ট্রাফিক গার্ডের ব্যারাকে থাকেন বা ডিউটি করেন, তাদের বিশেষ কিছু অভিযোগ ছিল। তবে এখন কোনও সমস্যা নেই। 


তাহলে কী এমন হয়েছিল? ট্রাফিক গার্ডের কর্মী ভয় পেয়েছিলেন কেন? মনোরোগ বিশেষজ্ঞ শর্মিলা সরকার বলেন, কোন পরিস্থিতিতে মানুষের মনে গুজব কেউ সত্যি বলে মনে হয় এবং মানুষ ভয় পায় তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। 


সব মিলিয়ে এখন স্বস্তি জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডে। দফতরে নিশ্চিন্তেই ডিউটি করছেন কর্মীরা।  


আরও পড়ুন: কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ভূতের আতঙ্ক! আত্মহত্যার চেষ্টা পরিযায়ী শ্রমিকের


আরও পডুন: ভূতের ভয়ে পুরুষশূন্য তেলঙ্গানার এই গ্রাম!