কলকাতা: কোয়ারেন্টিন সেন্টারে এমনিই সমস্যার অন্ত ছিল না। এরপরে আাবার চাড়া দিল ভূতের আতঙ্ক।
সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলের এক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে একজন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তারপর খবর ছড়িয়ে পড়ে, ওই কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নাকি ভূত আছে। আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই ব্যক্তি ও সহ-বাসিন্দারা নাকি মনেপ্রাণে এই কথা বিশ্বাস করতে শুরু করেন।
মহারাষ্ট্রের থানে থেকে একদল শ্রমিক সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে এসে পৌঁছান। নিয়মমাফিক তাঁদের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়। এক সরকারি স্কুলে ঠাঁই হয় তাঁদের। কোসিগি গ্রামের ওই স্কুলবাড়িকে ঘিরেই এখন নানারকম ভুতুড়ে গল্প ছড়াচ্ছে।
গত মাসের ১৮ তারিখ নাগাদ পরিযায়ী শ্রমিকের ওই দল স্কুলবাড়িতে এসে পৌঁছায়। তারপর কোথা থেকে তারা জানতে পারে, ওই বাড়িতে নাকি ভূতের বসবাস। একথা কর্তৃপক্ষকে জানালেও, পরিযায়ীদের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ তাঁদের করোনা-পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি।
বৃহস্পতিবার সকালে ওই দলেরই একজন স্কুলবাড়ির জানলা থেকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু অন্য বাসিন্দাদের চোখে পড়ে যাওয়ায়, তাঁকে রক্ষা করা সম্ভব হয়।
সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীলই, জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ভূতের ভয়েই কি আত্মহত্যার চেষ্টা? উত্তর খুঁজছে কর্তৃপক্ষ।