হিন্দোল দে, কলকাতা : শৌচালয় থেকে বেসরকারি সংস্থার এক কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ (Dead body) উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হরিদেবপুরে (Haridevpur)। হরিদেবপুরে নিজের বাড়িতেই বেসরকারি সংস্থার কর্মীকে (Private Organization Employee) খুনের অভিযোগ। বাড়িতে একাই থাকতেন ওই ব্যক্তি। মৃতের নাম বাপ্পা ভট্টাচার্য। গোটা বিষয়টিতে তদন্তে লালবাজারের (Lalbazar) হোমিসাইড শাখার পাশাপাশি সায়েন্টিফিক উইং (Scientific Wing) ও ফরেন্সিক দল (Forensic Team)। মৃতদেহ যখন উদ্ধার করা হয়, তখন দেহে পচন ধরতে শুরু করেছিল বলে পুলিশ (Police) সূত্রে দাবি। তদন্তকারীদের সন্দেহ, খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। ঘটনায় ৪ থেকে ৫ জন জড়িত থাকতে পারে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, মৃতদেহের মাথা ও শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ৪ থেকে ৫ জন জড়িত ঘটনায়। তারাই ঘটনার দিন আসে বাড়িতে। খাটের উপর খুন করে দেহ সরানো হয় শৌচালয়ে। খুনের মোটিভ কী, এটাই এখন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। কারও সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদ হয়েছিল ওই ব্যক্তির? সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল? নাকি, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে খুন করা হয়েছে বেসরকারি সংস্থার ওই কর্মীকে? পুলিশ সূত্রে খবর, যে সহকর্মীদের আসার কথা ছিল, তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে মৃতের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট।
হরিদেবপুর থানা এলাকার চকরামনগর জিয়াদার গোঠ এলাকায় এই দোতলা বাড়ির গৃহকর্তার মৃতদেহ উদ্ধার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, দোতলায় একাই থাকতেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী বাপ্পা ভট্টাচার্য। বাড়ির নীচের তলা বন্ধ থাকত। তাঁর স্ত্রী কর্মসূত্রে ব্যাঙ্গালোরে থাকেন। মেয়ে বিয়ের পর থাকেন উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে। মৃতের স্ত্রীর দাবি, রবিবার তাঁর সঙ্গে স্বামীর শেষবার কথা হয়। তারপর থেকে বাপ্পা ভট্টাচার্যের মোবাইল ফোন ছিল বন্ধ। বিপদের আশঙ্কা করে তাঁরা প্রতিবেশীদের খোঁজ নিতে বলেন।
এক প্রতিবেশী গিয়ে দেখেন, দোতলার ঘরের দরজা খোলা। শৌচালয়ে পড়ে ছিল রক্তাক্ত মৃতদেহ। প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়ে মঙ্গলবার যখন পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে, ততক্ষণে দেহে পচন ধরতে শুরু করেছে। মৃতের মেয়ের দাবি, ঘটনার দিন কয়েকজন সহকর্মীরা আসার কথা ছিল। বুধবার ঘটনাস্থলে ডিসিডিডি স্পেশাল দেবসমিতা দাসের নেতৃত্বে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অফিসাররা আসেন। আসে কলকাতা পুলিশের সায়েন্টিফিক উইং বিভাগও। থ্রিডি লেজার ইমেজিং পদ্ধতিতে তদন্ত চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক বিভাগও।