সৌভিক মজুমদার, কলকাতা :  কর্মশিক্ষা-শারীরশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগে বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ । ৩০ ডিসেম্বর বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ( Kolkata High Court ) ।



  • ১৮ নভেম্বর নিয়োগপত্র দেওয়ার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত

  • আজ সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ালেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু

  • ২১ ডিসেম্বর অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলার পরবর্তী শুনানি

  • ‘শহর ও শহরতলিতে বহু স্কুলে শিক্ষক আছে, কিন্তু ছাত্র নেই ...এই শিক্ষকদের গ্রামের স্কুলে পাঠালে ভাল হয়’ মন্তব্য বিচারপতির

  • ‘গ্রামাঞ্চলের বহু স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। হয় গ্রামের স্কুলে যান, নইলে চাকরি ছাড়ুন, এই নীতি নির্ধারণ করা প্রয়োজন’ মন্তব্য বিচারপতির ।

  • এব্যাপারে রাজ্যে উপযুক্ত নীতি নির্ধারণ করা প্রয়োজন, মন্তব্য বিচারপতির 

    গত ১৮ নভেম্বর,  কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকার এবং কমিশনের ভূমিকা নিয়ে এদিনও প্রশ্ন ওঠে আদালতে। ওঠে বাম আমলে প্রাথমিক থেকে ইংরেজি শিক্ষা বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গও। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ১ ডিসেম্বর অবধি  স্থগিতাদেশ জারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় । ২৮ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দিতে বলা হয় রাজ্যকে।

    গত ১৯ মে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিভাগে ১ হাজার ৬০০টি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। তা নিয়ে দুর্নীতির অভিসন্ধির অভিযোগে মামলা হয়। এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, এই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির অধিকার রাজ্যের নেই। কমিশন আগেই জানিয়েছিল, দের চাকরি বাতিল হয়েছে, রাজ্যের তৈরি করা শূন্যপদে, তাঁদেরও যেন নিয়োগের অনুমোদন দেয় আদালত। রাজ্য সরকার জানায়, তারা এই অবস্থানের বিপক্ষে। অযোগ্যদের নিয়োগের পক্ষে তারা নয়।