হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফের অস্ত্র উদ্ধার বাংলার জেলায়। সব ঠিক থাকলে নতুন বছরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Polls) হবে। তার আগে এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে (Kultali) উদ্ধার হল বোমা-অস্ত্র। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কীভাবে উদ্ধার:
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে, কুলতলিতে উদ্ধার হল বোমা-অস্ত্র। এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল রাতে কুলতলির মধুসূদনপুর এলাকায় হানা দেয় পুলিশ। ওই দুষ্কৃতীর নাম মঙ্গল লস্কর। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি দোনলা বন্দুক, একটি ওয়ান শটার, ৭ রাউন্ড কার্তুজ ও দুটি তাজা বোমা। পুলিশ সূত্রে খবর, অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। এলাকায় কেন অস্ত্র-বোমা মজুত করা হচ্ছিল, খতিয়ে দেখছে কুলতলি থানার পুলিশ।
গড়িয়া স্টেশনের কাছে বোমাবাজি:
কলকাতার একেবারে লাগোয়া গড়িয়া স্টেশন। সেখানেই গভীর রাতে চলল দেদার বোমাবাজি। সোমবার রাতের ঘটনা। রাত আড়াইটে নাগাদ বোমাবাজির আওয়াজে আতঙ্ক ছড়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে। ঠিক তার পরে মঙ্গলবার সকালে সেখানে রাস্তায় তিনটে বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায়। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার, গড়িয়া স্টেশনের কাছে, নবপল্লি এলাকায়, সাত সকালে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। ওই এলাকা যথেষ্ট জনবহুল। আশেপাশে বাড়িঘড়, দোকান-বাজার। সেখানেই সাতসকালে রাস্তায় বোমা পড়ে থাকায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। যেখানে বোমা পড়েছিল তার পাশেই স্কুল। খেলার মাঠ। শিশু উদ্যান। অনেকেই মর্নিং ওয়াকে যান। খেয়াল করতে না পারলেই বোমা ফাটত।
গড়িয়া স্টেশনের কাছে এই নবপল্লিতে, যেখানে বোমা পড়েছিল, তার থেকে ৩-৪ কিলোমিটারের মধ্যে খেয়াদা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিপার্ক এলাকা। গত ২৮ অক্টোবর, যেখানে দুষ্কৃতীদের মজুত করা বোমার হদিশ পেয়ে যাওয়ায়, ৫ নাবালকের ওপর বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। পরে এলাকা থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি। সেই ঘটনাস্থলের অদূরে ফের বোমা উদ্ধার। আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, রাত ১০টার পর থেকে এলাকায় সাইলেন্সার বিহীন বাইক বাহিনীর দাপট বাড়ে। ইদানিং শুরু হয়েছে বোমাবাজি। পুলিশের নজরদারির অভাবেই এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বাড়ছে।
শুরু তরজা:
এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, 'পুরো রাজ্য বোমার কারখানা হয়ে গেছে। আগে শুধু অপরাধীরা ছুরি ও বোমা ব্যবহার করত, খুন করত। এখন গুলি বন্দুক আর বোমা সবার আগে এসেছে। বোমা তৈরি করতে সবাইকে শিখিয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।' সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'সারা পশ্চিমবাংলায় যা হচ্ছে, বুঝতে পারছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী? মানুষের কোনও নিরাপত্তা নেই।' পাল্টা পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'বিজেপির লোকজন বোমাবাজি করেছে। সামনে পঞ্চায়েত।'
আরও পড়ুন: গত কয়েকদিনে ৫ ডিগ্রি বাড়ল তাপমাত্রা, আবহাওয়ার এমন আচরণ কেন