আবির দত্ত, কলকাতা: বৃষ্টিতে বিপর্যয়। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে কলকাতায় ভেঙে পড়ল তিনটি পুরনো বাড়ির একাংশ। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জানবাজার এবং নারকেলডাঙা এলাকায় বাড়ি ভেঙে পড়ে। মুচিপাড়ার ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনজন। 

একের পর এক নিম্নচাপ, লাগাতার বৃষ্টি। বিপর্যস্ত কলকাতা। এবার শহরে ভাঙল বাড়ি। বল বৃষ্টির মধ্যে কলকাতায় ভেঙে পড়েছে তিনটি পুরনো বাড়ি। সোমবার রাতে, কলকাতা পুরসভার কাছে জানবাজারে ভেঙে পড়ে একটি দোতলা বাড়ির একাংশ। কলকাতা পুরসভা পুরনো এই বাড়িটিকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছিল। মঙ্গলবার ভোরে নারকেলডাঙার রাজেন্দ্রলাল স্ট্রিটে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি ভেঙে পড়ে। এই দুই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। অন্যদিকে, মঙ্গলবার দুপুর ৩টে নাগাদ মুচিবাড়ায় রাজকুমার বোস লেনে ভেঙে পড়ে আরও একটি পুরনো বাড়ির একাংশ। আহত হন ৩ জন। মুচিপাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, "অনেক জোরে শব্দ হয়েছে। বাড়িটি পুরনো, ভাঙা হচ্ছিল। ৫-৬ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। ৩ জন আহত হয়েছেন।''

উত্তরবঙ্গেও চলছে একটানা ভারী বৃষ্টি। যার জেরে এদিন সকালে কালিম্পঙের তারখোলায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ ধস নামে। পাহাড়ের ওপর থেকে পাথর গড়িয়ে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। কালিম্পং-এর সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন শিলিগুড়ি ও দার্জিলিঙের। অন্যদিকে, নাগাড়ে বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা। বিপদসীমার ওপর দিয়ে জল বইছে। রবিঝোরা ও ২৯ মাইল এলাকায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে বইছে তিস্তার জল।                       

উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের যখন এই পরিস্থিতি, তখন নিম্নচাপের প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বলা হয়েছে, উত্তর বাংলাদেশের ওপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা পুরুলিয়ার ওপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। তার প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়াতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গেও বুধবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে। বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমার সম্ভাবনা। এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ। পরিসংখ্যান বলছে, দক্ষিণবঙ্গে ১৬ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায়। অন্যদিকে, স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গে।