সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: হাইড রোডে পরিত্যক্ত গুদামে আগুন (Kolkata Fire)। ওই গুদামটি প্রায় আট বছর ধরে বন্ধ ছিল বলে খবর। গুদামের মধ্যে রাখা ছিল পুরনো জামাকাপড়। জামাকাপড় থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে খবর। সন্ধে ৭ আগুন লাগলেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন রয়েছে ঘটনাস্থলে (Hyde Road Fire)।
জামাকাপড় থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে খবর
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধে ৭টা নাগাদ প্রথম ওই গুদামের ভিতর আগুনের শিখা দেখতে পান স্থানীয় লোকজন (Kolkata Port Trust)। তাঁরাই তড়িঘড়ি খবর দেন দমকলে। তার পর সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হলেও, গত তিন ঘণ্টাতেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি আগুন। এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থলে রয়েছেন দমকলের আধিকারিক, কর্মীরা। আগুন নোভানোর চেষ্টা চলছে জোর কদমে। ঘটনাস্থলে রয়েছে ১০টি ইঞ্জিন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পোর্ট ট্রাস্টের ওই জায়গায় বেশ কিছু গুদাম রয়েছে। যে গুদামে এ দিন আগুন ধরেছে, সেটি আট বছর ধরে বন্ধ পড়েছিল। পুরনো জামা-কাপড় মজুত করে রাখা ছিল তার মধ্যে। কিন্তু সেখানে কেউ থাকতেন না। তাই ঠিক কী কারণে আগুন ধরল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: সকালে উঠে নিয়ম করে জল ঢালতেন, অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা আটকালেন শিবঠাকুরই!
দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলেও, বিপদ এড়ানো গিয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়তে যাতে না পারে, তার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছেন দমকলের কর্মীরা। আগুনের উৎস কী থেকে, তা যদিও এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হতে পারে জানা গিয়েছে।
পোর্ট ট্রাস্টের ওই জায়গায় বেশ কিছু গুদাম রয়েছে
হাইড রোডের যে গুদামে আগুন লেগেছে, তার আশেপাশে আরও বেশ কিছু গুদাম রয়েছে পোর্ট ট্রাস্টের জমিতে। তাই আগুন সেখানেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা ছিল। তবে দমকলের তৎপরতায় তা রোখা গিয়েছে। এই মুহূর্তে আছগুন অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আপাতত কম। আগুন নেভানো গেলে, আগামী কাল আগুন লাগার কারণ জানমা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী দমকল বিভাগ। কিন্তু আট বছর ধরে বন্ধ পড়ে থাকা গুদামংে আচমকা আগুন লাগল কী ভাবে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।