রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ফোন। আর আর্থিক অনটনের মাঝে সেই ফাঁদে পা দিলেই সর্বস্বান্ত করে দেওয়ার ছক। টার্গেট মূলত ভিনরাজ্যের বাসিন্দার। খাস কলকাতায় বসে রমরমিয়ে চলছিল ভুয়ো কল সেন্টারের কারবার। গোপন সূত্রে খোঁজ পেয়ে হানা দিয়ে যে কারবারের পর্দাফাঁস করল পুলিশ।


গোপন সূত্রে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ (Electronics Complex Police Station) খোঁজ পায়, ওড়িশা, অসমের বাসিন্দাদের কাছে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ভুয়ো ফোন যাচ্ছে। যারপরই গোগোমুভিং টেকনোলজি নামক সংস্থার অফিসে হানা দেয় পুলিশ। সেখানে তল্লাশিতেই বেরিয়ে আসে ভুয়ো কলসেন্টারের চক্র। গ্রেফতার করা হয় ১৫ জনকে। যার মধ্যে ১৪ জনই মহিলা। বেশ কয়েকজন মহিলা ওড়িশা ও অসমের বাসিন্দা।


ভুয়ো কলসেন্টারটি থেকে বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট উদ্ধার করা হয়েছে পুলিশের তরফে। পাশাপাশি এই ভুয়ো কলসেন্টারের (Fake Call Center) জাল কতদূর বিস্তৃত তা খতিয়ে দেখার কাজও শুরু করেছে পুলিশ। কতজন এই ভুয়ো কলসেন্টারের চক্রে পড়ে প্রতারিত হয়েছেন, তার খোঁজ বের করার জন্য ইতিমধ্যে ওড়িশা ও অসমের পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে গোটা বিষয়টি নিয়ে আরও তথ্য পেতে।


গতমাসেও কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় ভুয়ো কলসেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান জারি ছিল। গত মাসের শেষের দিকে ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ মেলে দমদমে (Dum Dum)। যেখান থেকে সাতজনকে গ্রেফতার (Arrest) করে পুলিশ। পাশাপাশি উদ্ধার হয় মোবাইল ফোন সহ নানা ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী। যার কিছুদিন আগে বেনিয়াপুকুর থানা এলাকায় ভুয়ো কল সেন্টার চালানোর অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, ওই ভুয়ো কল সেন্টার থেকে আমেরিকা ও কানাডার নাগরিকদের প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়া হত অর্থ। ওই অফিস থেকে ৭টি ল্যাপটপ ও ১৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। সিল করে দেওয়া হয় অফিস।                                                       


আরও পড়ুন- স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন? জরুরি তথ্যগুলো জেনে রাখুন


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial