সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: চড়া রোদে বাড়ি থেকে বেরোলেই গলদঘর্ম দশা। শুকিয়ে গলা কাঠ। স্বস্তি পেতে ভরসা রাস্তার ধারের আখের রস, লেবুর জল (Lemon Water) থেকে লস্যি (Lassi)। শরবতের দোকানেই রাখা বরফের (Ice) বড় চাঁই। প্রয়োজন মতো তা থেকেই বরফ নিয়ে মেশানো হচ্ছে শরবতে (Sarbat)। 



কিন্তু, এটা বাণিজ্যিক বরফ (Industrial Ice) না খাওয়ার যোগ্য বরফ? প্রশ্ন উঠছে কারণ, শিল্পে ব্যবহার্য ও খাবার যোগ্য বরফ পৃথক করার কোনও উপায়ই, বর্তমানে কলকাতার বাজারগুলিতে নজরে আসছে না। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকবছর আগে খাবারযোগ্য বরফের সঙ্গে শিল্পক্ষেত্রের বরফকে পৃথক করতে নীল রঙ ব্যবহারের প্রস্তাব দেয় কেন্দ্র। সেইমতো ওয়ার্কশপ করে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Coorporation)।  


সেসময় বেশ কিছু বরফ কলে নীল রঙের বাণিজ্যিক বরফ তৈরিও হয়। কিন্তু, বর্তমানে খালি চোখে সব বরফই সাদা। শরবত বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এটাই তো খাবার বরফ। বড় হোটেলে ছোট বরফ খায়। গরিব মানুষ এটাই খায়। খাওয়া ও শিল্পক্ষেত্রের বরফের প্রকৃতই যে তফাত করার উপায় নেই বর্তমানে, মানছেন খোদ ডেপুটি মেয়র।                                         


আরও পড়ুন, প্রেমের টানে ঘরছাড়া! টোটোচালকদের সঙ্গে বাড়ি ছাড়লেন একই পরিবারের ২ গৃহবধূ


কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, "করোনা পরিস্থিতিতে সেদিকেই নজর। আলাদা বোঝার উপায় নেই। পুরসভা গিয়ে গিয়ে চেকিং করছে। খাবার বরফ ছোট কিউব। নীল রঙের ব্যবহার শিকেয়। ফলে চোখের নজরে সবই সাদা।" শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল আইস। নজরদারির অভাবে সেই বিষই প্রতিনিয়ত শরীরে ঢুকছে না তো? উঠছে প্রশ্ন। 


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজির প্রাক্তন অধ্যাপক উৎপল রায় চৌধুরী বলেন, "বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হতে পারে। " পুরসভা সূত্রে খবর, নতুন করে বানিজ্যিক বরফে নীল রঙের ব্যবহার চালু করতে ফের ওয়ার্কশপের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।