কলকাতা: একে গরমে গলদঘর্ম পরিস্থিতি, তার মধ্যে লোডশেডিং। প্রতিবাদে স্থানীয় কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন কলকাতা পুরসভার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের যোধপুর পার্কের গোবিন্দপুর ও দাসনগরের বাসিন্দারা। অভিযোগ, শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুই এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। শনিবার বিকেলে কিছুক্ষণের জন্য পাখা ঘুরলেও, রাতে আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। গতকাল সকালে কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ থাকলেও, বিকেলে ফের বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমী দাসের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে, রাতে তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান ভুক্তভোগীরা। কাউন্সিলরের দাবি, CESC জানিয়েছে, গরমে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে এসি চলার কারণে ট্রান্সফর্মারের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। তাই এই বিপত্তি। 


সৌমিত্র রায়, কলকাতা: প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে বাংলা। এক সেকেন্ডও ফ্য়ান ছাড়া থাকা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় লোডশেডিং!প্রতিবাদে রবিবার রাতে স্থানীয় কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন কলকাতা পুরসভার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের যোধপুর পার্কের গোবিন্দপুর ও দাসনগরের বাসিন্দারা। 


স্থানীয়দের অভিযোগ, নববর্ষ ও তার পরের দিন অর্থাৎ শনি ও রবি ২ দিন ধরে এলাকায় দফায় দফায় লোডশেডিং। অভিযোগ, শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুই এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। শনিবার বিকেলে কিছুক্ষণের জন্য পাখা ঘুরলেও, সারারাত কারেন্ট ছিল না।  রবিবার সকালে কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ থাকলেও, বিকেলে ফের বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। 


তারপর আবার লোডশেডিংয়ের রাত, জ্বালাপোড়া গরমে বাইরে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। হাত পাখা হাতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন বয়স্করা। এরপরই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে বাসিন্দাদের। প্রথমে এলাকায় কাজ করতে আসা CESC কর্মীদের ঘিরে চলে বিক্ষোভ।


এরপর, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমী দাসের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে, রাতে তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান ভুক্তভোগীরা। প্রথমে বাড়ির দরজার ভিতর থেকে কথা বললেও, চাপে পড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁর মাথায় হাওয়া করতে করতে তাঁকে বিদ্য়ুৎহীন এলাকায় নিয়ে যান বাসিন্দারা। যদিও কাউন্সিলরের দাবি, CESC জানিয়েছে, গরমে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে এসি চলার কারণে ট্রান্সফর্মারের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। তাই এই বিপত্তি। 


কলকাতা পুরসভার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমী দাসের, কালকে রাত্রিবেলা যখন হয়, আমি ফোনটা সাইলেন্ট করে রাখি। আমায় কেউ তারপরে আর কল করেনি। আজকে ৪টের পর বলা হয় কারেন্ট চলে গেছে। তারপর সিইএসসিকে কন্টিনিউ ফোন করে চলেছি। ইঞ্জিনিয়ার বলেছে, এখানে ১টা ট্রান্সফর্মার আছে। ২টো করতে হবে। সেটার জন্য় তো একটু সময় দিতেই হবে। রাত ২টোর পর বিদ্য়ুৎ এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।