পার্থপ্রতিম ঘোষ ও ভাস্কর ঘোষ, কলকাতা: ট্যাংরার (Tangra) অভিজাত আবাসনের ২১ তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু ব্যবসায়ী-পুত্রের। মাসির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল ওই কিশোর (teenager)। মৃতের পরিবারের দাবি, মা বাড়ি ফিরতে বলায় অ্যাপ ক্যাব (app cab) বুক করতে বলে আচমকা বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয় সে।
ঠিক কী এমন ঘটল?
'তুমি অ্যাপ ক্যাব বুক কর। আমি আর কখনও এখানে আসব না।' পরিবারের দাবি, এই ছিল তার শেষ কথা। তারপরই ১৬ বছরের কিশোর সবার চোখের সামনে ২১ তলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয়। এমনটাই দাবি করছেন পরিবারের লোকজন। নিমেষেই সব শেষ।
ট্যাংরার অভিজাত আবাসনে ব্যবসায়ী-পুত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
মৃত কিশোর হাওড়ার লিলুয়ার বাসিন্দা। পড়ত নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণিতে। শুক্রবার মায়ের সঙ্গে ট্যাংরায় মাসির বাড়িতে এসেছিল ওই কিশোর।
পরিবার সূত্রে দাবি, শুক্রবার বিকেলে আবাসনের ছাদের সুইমিং পুলে সাঁতার কাটে সে। তারপর নেমে আসে ২১ তলায় মাসির ফ্ল্যাটে।
মাসির ফ্ল্যাটে ফিরে এলে মা তাকে বলেন, 'সামনে পরীক্ষা, টিউশন আছে। তাই এবার বাড়ি ফিরতে হবে।' পরিবারের দাবি, তখন বেঁকে বসে সে। আচমকা মাকে বলে, ‘তুমি অ্যাপ ক্যাব বুক কর। আমি আর কখনও এখানে আসব না।' তারপরই মা, মাসির চোখের সামনে ছুটে গিয়ে বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয়।
মৃত কিশোরের আত্মীয়ের কথায়, 'মাসির বাড়ি গিয়েছিল। বিকেলে বারান্দায় যায়। চিত্কার শুনে সবাই ছুটে যায়। ওকে এরপর এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ওরা ২ ভাই।'
পরিবার সূত্রে দাবি, দেড় বছর আগে দক্ষিণ ভারতের এক হাসপাতালে কিশোরের ব্রেন টিউমার অস্ত্রোপচার হয়। তারপর থেকেই তার আচরণে বদল আসে। মাঝে মধ্যেই কোনও কারণে আচমকা অত্যাধিক রেগে গিয়ে নানা কাণ্ড ঘটাত। কখনও জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলত।
কিশোর ঝাঁপ দিয়েছে বলে পরিবার দাবি করলেও পুলিশ এতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে বলে সূত্রের খবর।