নয়া দিল্লি: বিশ্বে ক্রমশই উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে মাঙ্কি ভাইরাস। স্পেন ও পর্তুগালের মতো ইউরোপের একাধিক দেশ ও আমেরিকায় মাঙ্কি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর হদিশ পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আগাম সাবধান হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতেই একাধিক দেশকে সতর্ক করেছে তাঁরা। মনে করা হচ্ছে, সঠিক সচেতনতা না থাকলে করোনার ভমতো অতিমারীও হয়ে উঠতে পারে। 


ইংল্যান্ডের পর ইতিমধ্যে ইউরোপের স্পেন ও পর্তুগালের মতো একাধিক দেশেও এই ভাইরাসে আক্রান্তদের সন্ধান মিলেছে। এছাড়া আমেরিকাতেও এক ব্যক্তির দেহেও এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। গত ৭ মে প্রথম মাঙ্কি ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর হদিস মেলে লন্ডনে। তিনি মাঙ্কি পক্সে ভুগছিলেন। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছিলেন।


এদিকে, এতদিন বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল শ্বাসনালী, ক্ষত স্থান, নাক, মুখ ইত্যাদির মাধ্যমে মানব শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। কিন্তু সম্প্রতি মাঙ্কি ভাইরাসে আক্রান্ত একাধিক ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা মনে করছেন যৌন সংসর্গের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। পোশাক বা ড্রপলেটের মাধ্যমেই শুধু নয়, যৌন সংসর্গের (Sexual relations) মাধ্যমেও ছড়াতে পারে মাঙ্কি ভাইরাস (Monkey Virus), এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন, ভারতের পরিস্থিতিও শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে’, লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে মোদি সরকারকে নিশানা রাহুলের


উল্লেখ্য, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ইংল্যান্ডে (England) প্রথম মাঙ্কি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। তারপর এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে আমেরিকা (USA) সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও।ব্রিটেনের সর্বোচ্চ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে যে, ইতিমধ্যেই জমা করা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ ও টিকা। আপাতত যাঁরা ভাইরাস আক্রান্তদের কাছাকাছি ছিলেন বা তাঁদের সরাসরি সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে ওই ওষুধ। 


প্রসঙ্গত, ১৮ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বিভাগের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রথম একজন ব্যক্তির শরীরে এই মাঙ্কিপক্সের সন্ধান পান। যিনি সম্প্রতি কানাডা থেকে ফিরেছেন। শুধু এই একটি ঘটনা নয়, ইউ এস সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন আরও মাঙ্কি পক্সের ঘটনা সামনে আসার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না।