কলকাতা: আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের বিচারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া অভয়ামঞ্চ শুক্রবার পথে নামল আইনের পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগে। কসবা থানার সামনে এদিন শান্তিপূর্ণ অবস্থান করেন তারা। কসবা থানার সামনে প্রতিবাদ দেখান ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্যরা। গোটা ঘটনায় মুখ খুলল আর জি কর মেডিক্য়ালে নিহত নির্যাতিতার পরিবারও। 

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের পর এবার সাউথ ক্য়ালকাটা ল' কলেজ। চিকিৎসকের পর এবার আইনের পড়ুয়া। এই প্রেক্ষাপটে আর জি কর মেডিক্য়ালে তরুণী চিকিৎসকের বিচারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া অভয়ামঞ্চ শুক্রবার পথে নামল আইনের পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগে। এবিষয়ে সরব হয়েছেন আরজি করের নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবারও। অভয়ার মা বলেন, "আরজি কর যে এত বড় একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেখানে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছিল, সেটার জন্যই তো এত প্রতিবাদ, এত আন্দোলন হয়েছিল। কিন্তু লাভ কী হল? সেই তো ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। প্রশাসক যদি দুর্নীতি যারা করে তাদের মাথায় হাত রেখে দেয় তাহলে দুর্নীতিগুলো ঘটতেই থাকবে। যারা এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে জডিত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। আমার মেয়ের প্রায় এক বছর হতে গেল, একটা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খুন হয়েছে, ধর্ষণ করা হয়েছে তাকে। আমরা এখনও আসল অপরাধীদের খুঁজেই পাইনি। সরকারি মদতেই তারা লুকিয়ে আছে। তাদের মাথায় সরকারের হাত আছে।'' সাউথ ক্য়ালকাটা ল' কলেজের ঘটনায় অনেকেই আর জি করকাণ্ডের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। আর জি কর কাণ্ডের সময় প্রশ্ন ওঠে, ভোররাতে অত্য়াচারের এত ঘণ্টা পর কেন সকাল ৯টায় নির্য়াতিতার দেহ উদ্ধার হল? কেন আগে থেকে কেউ খোঁজ নেয়নি? সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজের ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, দুপুর ২টোয় কলেজের পঠনপাঠন শেষ হয়, সেখানে রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত এই অত্য়াচার চলল, অথচ কেউ কিছুই জানল না? আর জি করকাণ্ডের সঙ্গে সাউথ ক্য়ালকাটা ল' কলেজের ঘটনায় অবস্থানগত সাদৃশ্যও রয়েছে। আর জি কর কাণ্ডের ইমার্জেন্সি বিল্ডিং-এ গোটা ঘটনা সংগঠিত হয়। যেখানে সারাক্ষণ মানুষের আনাগোনা। সাউথ ক্য়ালকাটা ল' কলেজের যে ঘরে এই অপরাধ সংগঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ, তা একেবারে কলেজের মূল গেটের সামনে।