কলকাতা: দশম শ্রেণির পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর পর, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল স্কুল। (Kasba student death) কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুলের (Kasba school student death) তরফে গেটে নোটিস ঝোলানোর পাশাপাশি, অভিভাবকদেরও স্কুল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে সহযোগিতার জন্যই স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। ৪ সেপ্টেম্বর, সিলভার পয়েন্ট স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া শেখ সানের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষিকা-সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে খুন ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। স্কুলের ভিতরে পুলিশ পিকেট বসানো ছাড়াও, গতকাল একাধিক শিক্ষিকাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কসবা থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, ঘটনার আগে-পরে ওই ছাত্রকে দেখেছেন বলে জানালেও, তাকে পড়ে যেতে দেখেননি বলে জানিয়েছেন। আজ ফের স্কুলের শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
স্কুলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের দল: গতকালই চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার আগে গতকাল, বুধবার সিলভার পয়েন্ট স্কুলের ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে যান ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। কী করে ওই ছাত্র পড়ে গেল? কোথা থেকে পড়ে গেল? এই সব দিক ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক খতিয়ে দেখেন।
কসবার স্কুলে পড়ুয়ার মৃ্ত্য়ুর ঘটনায়, চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হবে। তার আগে বুধবার সিলভার পয়েন্ট সকুলের ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। সোমবার, কসবার সিলভার পয়েন্ট হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র শেখ শানের মৃত্যু হয়। খুনের অভিযোগ তোলে মৃত ছাত্রের পরিবার। দফায় দফায় থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বুধবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ: কী করে ওই ছাত্র পড়ে গেল? কোথা থেকে পড়ে গেল? এর পিছনে কী কী সম্ভাবনা রয়েছে? সব দিক এদিন খতিয়ে দেখেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। সূত্রের দাবি,ওপর থেকে পড়ার কারণে মৃত পড়ুয়ার শরীরের ডান চোয়ালের হাড়, পাঁজরের হাড়, ডান পায়ের পাতার হাড় এবং ডান দিকের কোমরের হাড় ভেঙেছে। বুধবার, কসবা থানার পুলিশ মৃত ছাত্রের কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে বাড়িতে গিয়ে কথাও বলে।
অন্যদিকে রাজ্য় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের অনুমান পারিবারিক কারণে ডিপ্রেসন থেকেই এই ঘটনা। মঙ্গলবার ছাত্রের রহস্য়মৃত্য়ুর ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন তদন্তকারীরা। ময়নাতদন্ত করা হয় মৃত শেখ শানের। সূত্রের খবর, ওই ছাত্র আত্মঘাতী হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে ফরেন্সিক দল।
আরও পড়ুন: South 24 Parganas: এলাকায় কোনও কাজ না থাকায় ভিনরাজ্যে গিয়েছিলেন, ফের আরও এক পরিযায়ী শ্রমিকের মত্যু