আবীর দত্ত, কলকাতা : মধ্য কলকাতার লেনিন সরণিতে (Lenin Sarani) রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নার্সিংহোমে ভাঙচুর। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, কোমরে ব্যথা হওয়ায় জিডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বছর পঁয়ত্রিশের সাদাব আহমেদকে। আজ সকালে মারা যান ওই যুবক। এরপরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে নার্সিংহোম ভাঙচুর (Hospital Vandalished) করে তাণ্ডব চালান মৃতের আত্মীয়রা। ভাঙচুর আটকাতে গিয়ে আহত হয়েছে এক পুলিশকর্মী। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
ঠিক কী কারণে মৃত্যু ? কোনও শারীরিক সমস্যা আগে থেকেই কি ছিল ? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিয়েছিল, এই সমস্ত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। নিউমার্কেট এলাকার বাসিন্দা তথা পেশায় ব্যবসায়ী বছর ৩৫-এর যুবক গতকাল সন্ধেয় কোমরে প্রবল ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেন। যার পরই তাঁকে মধ্য কলকাতার লেনিন সরণীর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মৃত যুবকের পরিবারের দাবি, রাতে হাসপাতালের তরফে ফোন করে জানানো হয়, রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য আরও অর্থ প্রয়োজন। আর এদিন সকালে জানানো হয়, মারা গিয়েছেন ওই যুবক। যারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন যুবকের পরিবারের লোকজন। হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, যথাযথ চিকিৎসার বদলে শুধুই অর্থের দাবি করেছে তাঁরা। যে অভিযোগ নিয়ে অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য মেলেনি।
যুবকের মৃত্যু হওয়ার পর গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে চড়াও হন মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় হাসপাতাল চত্বরে ঢোকার কাচ। হাসপাতালে উপস্থিত থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও তাঁদের ধাক্কাধাক্কি বাঁধে। ঝামেলা থামাতে গেলে আহত হন একজন পুলিশকর্মী। সকাল সাড়ে দশটার পর থেকে যা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। যারপরই হাসপাতালে ছুটে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন- প্রাণঘাতী ডেঙ্গির বলি আরও এক, রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বেড়ে ৫০ জনের
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন