অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councillor) বিরুদ্ধে মারধর ও উচ্ছেদের হুমকির অভিযোগ তুললেন প্রগতি ময়দান (Pragati Maidan) থানার বাসিন্দা এক মহিলা। অভিযোগ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। মহিলার অভিযোগ, নার্সারি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা হচ্ছে তাঁকে। যদিও তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, ঝুপড়ি তৈরির চেষ্টা করছিলেন ওই মহিলা।
অন্যায়ভাবে নার্সারি উচ্ছেদের ‘চেষ্টা করা হচ্ছে’। মালিকে ‘মারধর’ করা হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে ‘হুমকি’! তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন প্রগতি ময়দান থানা এলাকার এক বাসিন্দা। কলকাতা পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিনতি ঘোষের দাবি, চাষ আবাদের পাশাপাশি, EM বাইপাসের ধারে ফুল ও ফলের চারাগাছের এই নার্সারিটি গড়ে তোলেন তাঁর স্বামী। পরে চাষ করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়। তারপর থেকে তিনিই ওই নার্সারি সামলান।
আরও পড়ুন ; দিনের শুরুতেই বৃষ্টির স্বস্তির খবর, সেই সঙ্গে ঘূর্ণাবর্তের পূর্বাভাস
মহিলার অভিযোগ, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি কলকাতা পুরসভার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জীবন সাহার নির্দেশে তাঁর নার্সারির মালিকে তৃণমূলের স্থানীয় পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে তাঁকে মারধর ও গালিগালাজ করেন খোদ তৃণমূল কাউন্সিলর।
এই ঘটনার পর থেকে নার্সারি ছেড়ে উঠে যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মহিলা।
সম্প্রতি তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগপত্র পাঠানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। তৃণমূল কাউন্সিলরের পাল্টা দাবি, নার্সারির আড়ালে ঝুপরি তৈরি করা হচ্ছিল।
৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জীবন সাহা বলেন, এটা ইরিগেশনের জমি। নার্সারি নিয়ে বক্তব্য নেই। তবে এখানে কোনও ঝুপড়ি করা যাবে না। সেটাতে বাধা দিয়েছি। ওরা ঝুপড়ি তৈরি করছিল। কোনও মারধর করা হয়নি। অভিযোগ যে কেউ করতেই পারেন।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে প্রগতি ময়দান থানা।