সৌমিত্র রায়, কলকাতা: বাঘাযতীন, ট্যাংরা, এন্টালি, মুকুন্দপুর, এক্সাইডের পর এবার কাঁকুড়গাছি। শহরে ফের হেলে পড়া বহুতলের হদিশ মিলল। এবার কাঁকুড়গাছির ৩০ নম্বর ওয়ার্ড। একটি বহুতলের উপর বিপদজ্জনক ভাবে ঝুঁকে রয়েছে আরও একটি বহুতল। ঘটনায় আতঙ্কিত আবাসিকরা। পুরসভার বিরুদ্ধে উদাসিনতার অভিযোগ তুলছেন তাঁরা।
ফের হেলে পড়া বহুতলের হদিশ: কাঁকুড়গাছির মানিকতলা মেন রোড লাগোয়া এলাকায় একে অপরের দিকে হেলে পড়েছে দুটি বাড়ি। আতঙ্কে দুটি আবাসনের বাসিন্দারাই। নীচের দিক থেকে ওপরের দিকে গেলে গ্যাপ কমেছে। একেবারে ওপরের দিকে আকাশ দেখা যাচ্ছে না। হেলে থাকা বাড়ির বাসিন্দা বলেন, "সাদা বাড়ি শুরুর সময় থেকেই হেলে ছিল। কলকাতা পুরসভাকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।'' স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষ বিশ্বাসের দাবি, তিনি বিষয়টি কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, "আপনার থেকেই বিষয়টা জানলাম। আমার গোচরে নেই। এলাকায় গিয়ে খোঁজ নেব।''
এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের কড়া অবস্থানের জেরে, শান্তিনগরে বেআইনি বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করল বিধাননগর পুরনিগম। বিধাননগর পুরসভার একাধিক আধিকারিক ও পুলিশের উপস্থিতিতে শুরু হল বেআইনি বাড়ি ভাঙার কাজ। পুরসভার তরফে কেটে দেওয়া হয়েছে, বহুতলের বিদ্যুৎ সংযোগ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জল পরিষেবা। এতে চূড়ান্ত সমস্য়ায় পড়েছেন সেই মানুষগুলো, যাঁরা এখানে থাকতেন।
২০২৩ সালেই বিধাননগর পুরসভার অন্তর্গত শান্তিনগরের এই বহুতল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। এতদিনে তা কার্যকর না হওয়ায়, হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বিচারপতি তাঁর কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দেন। বিচারপতি অমৃতা সিন্হা বলেন, বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে পুলিশ ব্যর্থ। আদালত জানে কী করে তার নির্দেশ কার্যকর করাতে হয়। প্রয়োজনে আধাসেনা নামানো হবে। বিধাননগরে বেআইনি বহুতল ভাঙা নিয়ে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আদালতের কড়া অবস্থান জানার এক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে, শান্তিনগরের নবপল্লিতে বেআইনি বহুতলে পৌঁছে যান পুর আধিকারিকরা। শুরু হয় ভাঙাভাঙির কাজ।
আরও পড়ুন: RG Kar News: আর জি করকাণ্ডে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ মৃতার পরিবারের