Mid Day Meal: সরকারি স্কুলের মিড ডে মিলে আর ডিম পাবে না শিক্ষার্থীরা ! মিড ডে মিল থেকে ডিম আর চিনির তহবিল দেবে না আর সরকার। মঙ্গলবার এমনই ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। সরকারি স্কুলগুলিতে আর ডিম ও চিনির জন্য কোনো ফান্ডিং (Maharashtra News) দেবে না রাজ্য সরকার। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে একটি করে ডিম দিতে মাথাপিছু ৫ টাকা করে গড়ে খরচ হত সরকারের, সেই খরচ আর সরকার বহন করবে না। মহারাষ্ট্র সরকার (Mid Day Meal) জানিয়েছে শিক্ষার্থীদের ডিম খাওয়াতে হলে স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে ফান্ড সংগ্রহ করতে হবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে।


সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, 'ডিম পোলাও আর মিষ্টি জাতীয় খাবার এখন ঐচ্ছিক হিসেবে থাকবে, তবে স্কুলগুলিকে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ডিম ও চিনির জন্য ফান্ড সংগ্রহ করতে হবে'। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে মহারাষ্ট্র সরকার মিড ডে মিলে ডিমকে অন্তর্ভুক্ত করে খাবারের মধ্যে। ছাত্র-ছাত্রীদের সেদ্ধ ডিম, ডিম পোলাও, বা সপ্তাহে একদিন করে ডিম বিরিয়ানি খেতে দেওয়া হত। সপ্তাহে বৃহস্পতিবার কিংবা শুক্রবার করে এই খাবার দেওয়া হত শিক্ষার্থীদের। আর অন্যান্য দিনে খিচুড়ি দেওয়া হত অন্যান্য সবজির সঙ্গে। ডিম রাখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ স্কিমের অধীনে।


গ্রামীণ অঞ্চলে স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে নিজের দায়িত্বে ডিম কিনে প্রতি বৃহস্পতিবার কিংবা শুক্রবার করে সেদ্ধ ডিম, ডিম পোলাও বা ডিম বিরিয়ানি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে এই উদ্যোগ শুরু করেছিল মহারাষ্ট্র সরকার এবং সেই সময় বলা হয়েছিল যে সমস্ত শিক্ষার্থী নিরামিষ ভোজন করে, তাদের জন্য ডিমের বদলে দেওয়া হবে একটি করে কলা বা কোনো ফল। প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য এই স্কিম চালু করা হয়েছিল।   


পরিসংখ্যান বলছে, মহারাষ্ট্র সরকার প্রতি বছর ৫০ কোটি টাকা দিয়ে থাকে ২৪ লক্ষ স্কুল-শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে একটি ডিম খাওয়ানোর জন্য। তবে এবার নতুন যে সংশোধিত তহবিল করা হয়েছে তাতে ১০টি আলাদা আলাদা খাবার তৈরির কাঁচামাল কেনার জন্য টাকা বরাদ্দ করা হবে।


আরও পড়ুন: Success Story: স্কুলে সেকেন্ড ডিভিশনে উত্তীর্ণ, তবুও অদম্য জেদে সফল IAS; ইন্দ্র বিক্রম সিংয়ের সাফল্য অনুপ্রাণিত করবে


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI