কলকাতা: স্ত্রীর কাছে অপহরণের গল্প ফেঁদে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করে বিপাকে সেনা কর্মী (Army)। লালবাজারে ফোন করে অভিযোগ জানান স্ত্রী।নিউ মার্কেট থানা এলাকায় রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের একটি হোটেলে মিলল সেনা কর্মীর খোঁজ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে কবুল, টাকার দরকারে স্ত্রীর কাছে অপহরণের গল্প ফেঁদেছিলেন।
স্ত্রীর কাছে অপহরণের গল্প ফেঁদে মুক্তিপণের পর্দাফাঁস সেনা কর্মীর
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল দুপুরে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে ফোন করে এক মহিলা জানান, অরুণাচল প্রদেশে সেনাবাহিনীতে কর্মরত তাঁর স্বামী অরুণ গুলেরিয়া কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে অপহৃত হয়েছেন। হোটেলে আটকে রেখে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চাইছে অপহরণকারীরা। তদন্তে নামে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা ও নিউ মার্কেট থানার পুলিশ। এরপর সন্ধেয় নিউ মার্কেটের একটি হোটেল থেকে মত্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই সেনা কর্মীকে। গোটা বিষয়টি জানতে অরুণাচল থেকে সেনা আধিকারিকরা কলকাতায় আসছেন।
অপরহরণে ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল খোদ রক্ষকেরই
অপরহরণের গল্প ফেঁদে মুক্তিপণ চাওয়ার ঘটনার মুখোমুখি আগেও হয়েছে রাজ্য। গতবছর নভেম্বরেও এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ।মৌলালির পরপরই সেবার সামনে এসেছিল একবালপুরের একটি ঘটনা। যেখানে পুলিশই ‘ডাকাত’। ট্র্যাভেল এজেন্সি কোম্পানির কর্মীকে অপহরণ করে ৩৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা লুঠের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল একবালপুর থানার ২ কনস্টেবল, ১ সিভিক ভলান্টিয়ার সহ ৬ জনকে। সমাজের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব যাঁদের কাঁধে, সেই পুলিশকর্মীদের (Police) বিরুদ্ধেই উঠেছিল, টাকা লুঠের অভিযোগ।
আরও পড়ুন, যাদবপুর পড়ুয়ার হেনস্থার ভিডিও পেতে ফরেন্সিকের সাহায্য কলকাতা পুলিশের
ঠিক কী হয়েছিল ?
পুলিশ সূত্রে খবর, হোলিল্যান্ড ফরেক্স অ্যান্ড ট্র্যাভেলস নামে একবালপুরের একটি ট্রাভেল এজেন্সির এক কর্মী ৩৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে খিদিরপুরের এক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে জমা দিতে যাচ্ছিলেন। মহম্মদ আরবাজ নামে ট্র্যাভেল এজেন্সির ওই কর্মীর দাবি, ব্যাঙ্কের খুব কাছে, তাঁর স্কুটিটি আটকান ২-৩ জন। তাঁরা নিজেদের একবালপুর থানার পুলিশকর্মী বলে পরিচয় দেন। আক্রান্তের দাবি, এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়, ডায়মন্ড হারবার রোডের এক হোটেলে। সেখানে গিয়ে, তাঁকে মারাত্মক মারধর করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয়, সঙ্গে থাকা ৩৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এত গেল নাগরিক জীবনে অপহরণের উদাহরণ। তবে এবার অপহরণের তালিকা থেকে বাদ যায়নি গণ উৎসবও।