কলকাতা: কাচের টুকরো দিয়ে গলা কেটে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা। অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে এন্টালি থানার পুলিশ (Police)। নেশার টাকা না দেওয়ায় অশান্তি, তার জেরেই খুনের চেষ্টা, দাবি পুলিশের। দাম্পত্য কলহের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চলতি বছরেই আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল কলকাতার বুকে। স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন (Murder)। থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন SSKM-এর চিকিৎসক। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বাগদা থানার পুলিশ। মৃতের নাম রত্নতমা দে। পুলিশ সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে দত্তপুকুরের নীলগঞ্জের বাসিন্দা রত্নতমার সঙ্গে বিয়ে হয় বাগদার মণ্ডবঘটা গ্রামের বাসিন্দা অরিন্দম বালার। বিয়ের পর বনিবনা না হওয়ায় বাবার বাড়িতে থাকতেন রত্নতমা। অরিন্দম SSKM-এ এমডি করছিলেন। অভিযোগ, গতকাল স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসে কুপিয়ে খুন করেছিলেন ওই চিকিৎসক।
পাশাপাশি জুলাই মাসে,বাগুইআটিতে সকালের নিস্তবদ্ধতা ভেঙেছিল গুলির শব্দ। বাগুইআটির নারায়ণপুরে স্ত্রীকে গুলি করে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন স্বামী ( Murder case)। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। জানা যায়, মৃত গৃহবধূর নাম টুম্পা ঘোষ। নারায়ণপুরের চন্দ্রাণী এলাকার বাসিন্দা বছর ৩২-এর টুম্পার সঙ্গে তাঁর স্বামী অজয়ের সাংসারিক বিষয় নিয়ে অশান্তি চলছিল। প্রতিবেশীরা আজ সকালে গুলির আওয়াজ পান। গৃহবধূকে বাড়ির মধ্যেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। মহিলার শরীরে দুটি গুলি লাগে। মার্চ মাসেও এমনই একটি ভয়াবহ ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল নদিয়া জেলা। স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে সেবার আত্মঘাতী হয়েছিলেন স্বামী। এরপর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় স্ত্রীর গলা কাটা দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার কুটির পাড়া এলাকায়।
আরও পড়ুন, ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরীখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা, দ্বিতীয় কলকাতা
এমনই ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল শিলিগুড়িও। স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করেছিল স্বামী।শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের কোকরাজোত গ্রাম এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর নিয়ে জানা যায় যে বেশ কিছুদিন ধরেই নাকি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিবাদ চলছিল। ফাঁসিদেওয়া এলাকার একটি মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া সেরে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঠিক সেই সময়ই একটি আওয়াজ শুনতে পেয়ে তড়িঘড়ি উঠে বাইরে আসেন ঘটনায় অভিযুক্ত রঞ্জিত সোরেনের বোন লক্ষ্মী সোরেন। তিনি বাইরে এসে দেখেন যে তাঁর বৌদি মাটিয়ে পড়ে লুটিয়ে আছেন। দেহ পুরো রক্তাক্ত। লক্ষ্মী দেখতে পান তাঁর দাদার হাতে ধারাল অস্ত্র। মুহূর্তের মধ্যেই সেখান থেকে পালিয়ে যান রঞ্জিত। যদিও পরে তিনি গিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রঞ্জিতের স্ত্রীর।