কলকাতা: ডেঙ্গি নিয়ে (Dengue Situation) ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে কলকাতা তথা বঙ্গে।গত এক সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের ১৭টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলায় নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬১৩ জন। গোটা রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজার ১৪০। চলতি মরশুমে আক্রান্তের নিরীখে প্রথম স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা, দ্বিতীয় কলকাতা। তিন নম্বর স্থানে মুর্শিদাবাদ।


 সম্প্রতি নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিমও। ফিরহাদের কথায়, 'ডেঙ্গি হল ন্যাচেরাল ক্যালামেটি (Natural Calamity)। ডেঙ্গি এই পরিস্থিতিতে আমরা যেখানে থাকি, সেখানে আছে। থাকবে। ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গি ১০০ বছর আগেও ছিল। ১০০ বছর পরেও থাকবে।  যেখানে আমাদের এই শহরে আদ্রতায় ভরা আবহাওয়া, সেখানে বাংলায় সবথেকে ভাল ব্যবস্থা হয়েছে। তবে এমন অনেক জায়গা আছে, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাগুলিতে, আদালতের চত্বরেও ডেঙ্গির লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে,  সেই কারণ আমাদের একটু অসুবিধা হচ্ছে। ডেঙ্গি এখনও অত্যন্ত নিয়ন্ত্রণে, এবং তার কৃতিত্বটা স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।'


 সম্প্রতি কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'মশা অতি অবুঝ প্রাণী। মানুষের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যত সহজে সচেতনতা প্রচার করা যায়,মশার মধ্যে তত সহজে প্রচার করা যায় না।' তাঁর মতে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে সবরকম ভাবে চেষ্টা করছে পুরসভা ও প্রশাসন। তিনি বলেন, 'ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন, রাজ্য সরকার, পুরসভা সবটাই করছে। আমরা যারা সাধারণ নাগরিক তাঁদের কিছুটা কর্তব্য রয়েছে। বাড়িতে, বাগানে, ছাদে জল জমিয়ে রাখবেন না। প্রত্যেকটা ছাদ সরকারের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। ফলে এ ব্যাপারে সরকার এবং নাগরিক হাতে হাত মিলিয়ে করতে হবে।' 


রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে বলে অভিযোগ। ডেঙ্গি সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর (Dengue Death) সংখ্যা নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি মতে বিরোধ হয়েছে। সরকারি মতের থেকে অনেকবেশি পরিসংখ্য়ান বেসরকারি মতে। এই আবহে কুণাল ঘোষের দাবি, 'অন্য রাজ্য এবং বাংলাদেশ থেকে বহু ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে এখানকার হাসপাতালে এসে ভর্তি হচ্ছেন। ফলে পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে এখানে কিছু সংখ্যা কিন্তু তাঁরা আক্রান্ত হয়ে আসছেন অন্য জায়গা থেকে।'


আরও পড়ুন, 'দিল্লি পুলিশের লাঠির সাইজ ৬ ফুট..', অভিষেকের পাল্টা হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর


সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ৮ হাজার ৫৩৫ জন। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে ৫ হাজার ৪৪৬ ও গ্রামাঞ্চলে ২ হাজার ৯৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৮৬ জন। বিধাননগর পুর-এলাকায় ১ হাজার ৯১৬, দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় ৯১৭, বারাসাত পুর-এলাকায় ২৩৯ জন আক্রান্ত। গ্রামাঞ্চলের মধ্যে আমডাঙা ব্লকে ৪৭৬, বনগাঁ ব্লকে ৬৩২, হাবড়া ২ নম্বর ব্লকে ৩৭৭, রাজারহাট ব্লকে ২৭৯ এবং দেগঙ্গা ব্লকে ১৯৯ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।