কলকাতা: ডেঙ্গির আতঙ্কের মাঝেই এবার ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে (Sambhunath Pandit Hospital ) ম্যালেরিয়া আক্রান্ত বৃদ্ধার মৃত্যু (Malaria Death)। ম্যালেরিয়ায় হাওড়ার ডোমজুড়ের বাসিন্দা লালবানু মণ্ডলের মৃত্যু। ১৯ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি, ডেথ সার্টিফিকেটে সিভিয়ার ম্যালেরিয়ার উল্লেখ। 


বর্ষায় ডেঙ্গির সঙ্গে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ম্যালেরিয়া। এবার দুই মশাবাহিত রোগ চিন্তা বাড়াচ্ছে হাওড়া শহরে। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে জেলায় জেলায়। সেই সঙ্গে বাড়ছে ম্যালেরিয়াও। বিশেষত হাওড়া শহরে বাড়ছে ডেঙ্গি ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত। হাওড়া জেলা হাসপাতালে জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন অনেকে। হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৫০টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪৮ জন। এর মধ্যে ৪, ২৩ ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে। অন্যদিকে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলাহাট এলাকা যথেষ্ট ঘিঞ্জি এবং প্রতিদিন সেখানে প্রচুর মানুষের যাতায়াত রয়েছে। ওই এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে।


অন্যদিকে ডেঙ্গি নিয়েও বাড়ছে ক্রমশ আতঙ্ক। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ৮ হাজার ৫৩৫ জন। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে ৫ হাজার ৪৪৬ ও গ্রামাঞ্চলে ২ হাজার ৯৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৮৬ জন। বিধাননগর পুর-এলাকায় ১ হাজার ৯১৬, দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় ৯১৭, বারাসাত পুর-এলাকায় ২৩৯ জন আক্রান্ত। গ্রামাঞ্চলের মধ্যে আমডাঙা ব্লকে ৪৭৬, বনগাঁ ব্লকে ৬৩২, হাবড়া ২ নম্বর ব্লকে ৩৭৭, রাজারহাট ব্লকে ২৭৯ এবং দেগঙ্গা ব্লকে ১৯৯ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।  


আরও পড়ুন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় হাসপাতালে ৩০০ বেডের ব্যবস্থা কলকাতা পুরসভার


যদিও গতকাল ফিরহাদ অভয় দিয়ে বলেছেন, 'ডেঙ্গি এখনও অত্যন্ত নিয়ন্ত্রণে', যার কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলে জানিয়েছেন তিনি। ফিরহাদের কথায়, 'ডেঙ্গি হল ন্যাচেরাল ক্যালামেটি (Natural Calamity)। ডেঙ্গি এই পরিস্থিতিতে আমরা যেখানে থাকি, সেখানে আছে। থাকবে। ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গি ১০০ বছর আগেও ছিল। ১০০ বছর পরেও থাকবে।  যেখানে আমাদের এই শহরে আদ্রতায় ভরা আবহাওয়া, সেখানে বাংলায় সবথেকে ভাল ব্যবস্থা হয়েছে। তবে এমন অনেক জায়গা আছে, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাগুলিতে, আদালতের চত্বরেও ডেঙ্গির লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে,  সেই কারণ আমাদের একটু অসুবিধা হচ্ছে। ডেঙ্গি এখনও অত্যন্ত নিয়ন্ত্রণে, এবং তার কৃতিত্বটা স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।'