কলকাতা: উইৎসবের মরসুমে বিপজ্জনক ভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (COVID-19 Infection)। সংক্রমতা নিয়ে এ বার সক্রিয় হল কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation/KMC)। শহর জুড়ে কনটেনমেন্ট জোন (Containment one) চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খুলে দেওয়া হচ্ছে সেফ হোমগুলিও (Safe Home) । একই সঙ্গে ফের চালু হচ্ছে পুরসভার হেল্পলাইন (KMC Helpline)। তাতে পুরসভায় ফোন করে পরামর্শ নিতে পারবেন রোগী এবং তাঁর পরিবার। ফোন করলে বাড়িতে গিয়েও করোনা পরীক্ষা (COVID Test) করবে পুরসভা।
বৃহস্পতিবারই রাজ্যএ দৈনিক সংক্রমণ ২ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে।মারাও গিয়েছেন ১২ জব করোনা রোগী। এর মধ্যেই আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে অধ্যক্ষ সহ করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে ২২ হয়ে গিয়েছে। কলকাতা পুলিশেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে কলকাতার পরিস্থিতি এবং তার মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আক্রান্তদের ৮০ শতাংশই উপসর্গহীন (Asymptomatic COVID Patients)। জ্বর, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ রয়েছে ১৭ শতাংশের। হাসপাতালে যাওয়ার দরকার পড়ছে ৩ শতাংশের। সংখ্যাটা যেহেতু ৩ শতাংশ, তাই খুব বেশি হাসপাতালের প্রয়োজন পড়ছে না। তবে যে সেফ হোমগুলি ফের চালু করে দেওয়া হচ্ছে। আগে এক-দু’দিনের মধ্যেই পরিকাঠামো গড়ে তোলা যাবে। সে ক্ষেত্রে সোমবার থেকেই খুলে দেওয়া যাবে সেফ হোমগুলি।”
এ দিনই শহরে পুরসভার তরফে কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিতকরণ অভিযান চালানো হয়। শুরুতে জানা যায়, ১৭টি কনটেনমেন্ট পয়েন্ট চিহ্নিত করেছে পুরসভা। কিন্তু ফিরহাদ জানান, এখনও পর্যন্ত ১১টি কনটেনমেন্ট পয়েন্ট চিহ্নিত করা গিয়েছে। বিশদ রিপোর্ট হাতে এলে সম্পূর্ণ পরিসংখ্যান মিলবে।
আরও পড়ুন: WB COVID-19 Cases: তিন হাজার পেরোল দৈনিক সংক্রমণ, এক দিনে আক্রান্ত বাড়ল ১৩২৩
কনটেনমেন্ট জোনের পাশাপাশি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হবে বলেও জানান ফিরহাদ। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি জানান, যদি কনও আবাসনে এক পরিবারের চার-পাঁচ জন আক্রান্ত হন, তাহলে গোয়া বিল্ডিংয়ের জীবাণুমুক্তকরণ করবে পুরসভা। আবাসন অ্যাসোসিয়েশন-এর সঙ্গে কথা বলে সেখানে বসবাসকারী সকলের জন্ কড়া বিধি চালু করা হবে, য়াতে আবাসন থেকে ঢোকা এবং বেরনোর সময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়।লিফ্টে স্যানিটাইজার রাখতে হবে। ওঠা নামার সময় তা ছড়িয়ে নিতে হবে সকলকে।
আগের মতো ১৪ দিনের নিভৃতবাস প্রয়োজন কি না জানতে চাইলে ফিরহাদ বলেন, “এখন পাঁচ দিনেই রিপোর্ট নেগেটিভ চলে আসছে। উপসর্গ বোঝাই যাচ্ছে না অধিকাংশ ক্ষেত্রে। তবে করোনা ধরা পড়লে পাঁছ দিন পর আবার পরীক্ষা করাবে পুরসভা। তাতে রিপোর্ট নেগেটিভ এলে অসুবিধা নেই। দু’-তিন দিন বিশ্রাম নিয়ে ফেরা সম্ভব। তবে রিপোর্ট পজিটিভ এলে নিষেধাজ্ঞা মেনেই চলতে হবে সকলকে।”এ ছাড়াও, জ্বর বা অসুস্থ বোধ করলে পুরসভায় ফোন করেই পরীক্ষা করানো যাবে বলে জানান ফিরহাদ। হেলপালাইনে আগের মতোই সবরকমের সহযোগিতা মিলবে।