ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : বিদেশে (International Travel History) না গিয়েও ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন ওমিক্রনে (omicron) আক্রান্ত। কীভাবে মেডিক্যাল কলেজের (Medical College) পড়ুয়া সংক্রমিত হলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি গোষ্ঠী সংক্রমণ (Community Transmission) শুরু হল রাজ্যে? স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Deaprtment) সূত্রে খবর, ওই পড়ুয়ার সংস্পর্শে আসা কয়েকজনকে সনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তের অবস্থা স্থিতিশীল।
ওমিক্রন আক্রান্ত পড়ুয়ার সংস্পর্শে আসা তিনজনকে সনাক্ত করা হয়েছে। মেডিক্যালের ছাত্র হিসেবে তিনি, বেশ কয়েকজন রোগীর সংস্পর্শে আসেন। সম্প্রতি মেডিক্যাল কলেজের ওই ইন্টার্নের করোনা টেস্ট হয়। পজিটিভ রিপোর্ট পেয়ে তিনি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাড়িতে চলে যান। শুক্রবার ওমিক্রন রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার পরই, তাঁকে কৃষ্ণনগর থেকে এনে ভর্তি করা হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রক্তচাপ সামান্য বেশি হলেও, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। কোনও উপসর্গ নেই।
সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব সব রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করে লেখেন, ডেল্টার (Delta Variant) চেয়ে অন্তত তিন গুণ বেশি সংক্রমণ হতে পারে ওমিক্রনে। বাড়তে বাড়তে বাংলায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬-এ। আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজনের বিদেশযাত্রার ইতিহাস রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের আক্রান্ত পড়ুয়া সাম্প্রতিককালে বিদেশ যাননি। বিদেশ যাত্রার রেকর্ড না থাকা সত্ত্বেও, কীভাবে আক্রান্ত হলেন তিনি? তবে কি এরাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত মিলল? জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেছেন, 'বিদেশ ফেরত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের ইতিহাস না থাকলে চিন্তার বিষয়। আমাদের এত বড় দেশ ওমিক্রন হয়তো অনেক আগে এসেছে। আমরা জানি না। দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের আগে সনাক্ত করে ফেলে।'
এদিকে, অভিযোগ মেডিক্যালের হস্টেল পড়ুয়া ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও রুম স্যানিটাইজেশন হয়নি। এমনকী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফেও এনিয়ে পড়ুয়াদের কিছু জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ। এক ইন্টার্ন ওমিক্রন আক্রান্ত, আরও এক পড়ুয়া অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর এই নিয়ে বি সি রায় হস্টেলের আবাসিক পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ।
আরও পড়ুন- বড়দিনের উৎসবের মাঝেই উদ্বেগ, দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যুতে রাজ্যে শীর্ষে কলকাতা