পার্থপ্রতিম ঘোষ, হিন্দোল দে ও সুকান্ত দাস, কুলতলি (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) : পায়ের ছাপ দেখে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বন দফতরের কর্মী ও কয়েকজন গ্রামবাসী। আচমকা কানে ভেসে এল তার গর্জন। আর সেই আওয়াজ শুনেই যে যেখানে পারলেন লাগালেন প্রাণ হাতে ছুট। ৩ দিন পার হয়ে গেলেও বাঘের (Tiger) দেখা না মেলায় কুলতলিতে (Kultali) বাড়ছে আতঙ্ক (Scare)। চারিদিক ঘেরা হচ্ছে জাল দিয়ে। দেওয়া হয়েছে ছাগলের টোপ। এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের (Tourist)। বন দফতর (Forest Department) ও কুলতলি থানার তরফে পিয়ালি নদীতে নৌকায় চড়ে চলছে মাইকে প্রচার।


জলের তোড়ে না বাঘ ঢুকে যায় লোকালয়ে! বাঘ ধরতে জাল দিয়ে নদী ঘেরার কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার কুলতলির ৫ নম্বর গরানকাঠি এলাকায় কাঁকড়া ধরতে যাওয়া এক মহিলা বাঘ দেখতে পান বলে দাবি করেন। খবর পেয়ে সেখানে যান বন দফতরের কর্মীরা। বাঘ বন্দি করতে খাঁচা পাতা হয়। বসে রাত পাহারা। তবে এখনও পর্যন্ত ধরা দেয়নি রয়্যাল বেঙ্গল। গরানকাঠির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পিয়ালি নদী পেরিয়ে বাঘটি কাছের ডোঙ্গাজোড়া গ্রামে ঢুকে পড়েছে বলে আশঙ্কা বন দফতরের কর্মীদের।


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বাঘ ঢুকে পড়েছিল কুলতলীরই মৈপীঠের গ্রামে।  দিনভর উৎকণ্ঠার পর  অবশেষে খাঁচাবন্দি করা হয় রয়্যাল বেঙ্গলকে। বাঘকে খাঁচাবন্দি দেখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন ভুবনেশ্বরীর গ্রামের বাসিন্দারা। বাঘের দেখা পাওযার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দক্ষিণ রায়ের বাহনকে দেখতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৈপীঠের ভুবনেশ্বরী গ্রামে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। ঘটনার দিন ভোরে একঝলক দেখা দিয়েই পাক ধান খেতের মধ্যে মিশে গিয়েছিল হলুদ-ডোরাকাটা শরীরটা।কয়েকজন গ্রামবাসীর কাছ থেকে বাঘের খবর পেয়েই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে গোটা গ্রাম। জল আর জঙ্গলে ঘেরা সুন্দরবনের এই লোকালয়ে রয়্যাল বেঙ্গলের উপস্থিতির কথা জানতে পেরেই তড়িঘড়ি চলে আসে বন দফতর ও পুলিশ।শুরু হয় বাঘকে বাগে আনার তোড়জোড়।পাতা হয় ফাঁদ। জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় ধানের খেত। অবশেষে খাঁচাবন্দি করা হয় বাঘটিকে।


আরও পড়ুন- পায়ের ছাপের পর দেখা দিয়ে জানালেন তিনি এসেছেন! কুলতলিতে বাঘ-বন্দিতে তৎপর বন দফতর