কলকাতা: মাঝরাতে এক কাপড়ে বেরিয়ে যেতে হয়েছে বাড়ি ছেড়ে। সুরাহার ইয়ত্তা নেই, এ দিকে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সেই সব নিয়ে আতঙ্ক যখন চেপে ধরেছে, বউবাজারের (Bowbazar House Crack) ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ফের ক্ষমা চাইলেন কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ (Kolkata Metro Rail Corporation/KMRCL )। আতঙ্কিত মানুষগুলিকে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। 


সুদীপের উপস্থিতিতে বৈঠক


বউবাজার নিয়ে সুরাহা বার করতে রবিবার মেট্রো কর্তৃপক্ষ, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। সেখানেই মেট্রো কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ি মেরামতি এবং পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। গোটা প্রক্রিয়ায় নজরদারির আশ্বাস দেন খোদ সুদীপ।


বউবাজারে আপাতত দুর্গা পিটুরি লেনের দুটি বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন KMRCL কর্তৃপক্ষ। দুর্গা পিটুরি লেনের বাকি বাড়িগুলির বিষয়ে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি, আরও বড় বিপর্যয় আটকাতে বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি চিহ্নিত করে সেগুলিতে লোহার খাঁচা এবং খুঁটি লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে।


আরও পড়ুন: Bowbazar House Crack: দু'টি বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত, বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে আজ বৈঠক সুদীপের


কিন্তু রবিবার ভোরে এক ঘণ্টার নোটিসে KMRCL কর্তৃপক্ষ বাড়ি খালি করতে বলায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। তাঁদের প্রশ্ন, ঘরবোঝাই জিনিসপত্র এত কম সময়ে কী ভাবে সরানো সম্ভব? যদিও বা জিনিসপত্র বার করতে সক্ষম হন, সেগুলি নিয়েই বা কোথায় গিয়ে উঠবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সকলে। পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে জানা গিয়েছে।


বউবাজার নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও


কিন্তু কেন বারবার একই জায়গায় বিপত্তি? রুট পাল্টানোতেই কি বারবার বিপর্যয় হচ্ছে? প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন। রুট বদলানোর জন্যই বার বার বিপত্তি দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন। যদিও রুট বদলের জন্য বিপত্তির কথা মানতে নারাজ মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।