অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা :  ছুটির দিনে মেট্রোয় বিভ্রাট ( Kolkata Metro )। দুপুর থেকে নোয়াপাড়া ও দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে চলেইনি কোনও মেট্রো। অবশেষে  প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর, সোমবার, দক্ষিণেশ্বর থেকে মেট্রো পরিষেবা ফের চালু হল। রবিবার ভোগান্তি হলেও সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে অন্তত স্বস্তিতে নিত্যযাত্রীরা। 


মেট্রো সূত্রে খবর, রবিবার বরানগরে থার্ড লাইন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী যন্ত্রের একাংশ ভেঙে যায়। এর জেরে দুপুর ১টা ৫২ থেকে বন্ধ হয়ে যায় দক্ষিণেশ্বর থেকে নোয়াপাড়ার মধ্যে মেট্রো চলাচল। চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েন মেট্রো যাত্রীরা। রাত ৯টা ৪০-এ শেষ মেট্রোও ছাড়েনি। ফলে সপ্তাহের প্রথম দিনে মেট্রো-ভোগান্তি আরও বাড়ার আশঙ্কা ছিল। রাতভর মেরামতির পর, অবশেষে সোমবার নির্দিষ্ট সময়ে সকাল ৭টা নাগাদ দক্ষিণেশ্বর থেকে প্রথম মেট্রো ছাড়ে। এর ফলে স্বস্তির  নিঃশ্বাস ফেললেন যাত্রীরা। 


মেট্রো চালু হওয়ার পর থেকে নোয়াপাড়া ও দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে যাতায়াত অনেক সুবিধে ও কম সময়পাপেক্ষ হয়ে গিয়েছে। ছুটির দিনে এই বিভ্রাট হওয়ায় রীতিমতো অসুবিধেয় পড়তে হয় যাত্রীদের। বৃহস্পতিবারও এই একই কারণের জন্য নোয়াপাড়া থেকে  দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে প্রায় ৫ ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রো চলাচল। রবিবারও বরানগরে থার্ড লাইনে বিদ্যুৎ পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটায় দীর্ঘক্ষণ পরিষেবার বিঘ্ন ঘটে । 


আরও পড়ুন :


 ভুল দিকে আয়না ডেকে আনে সর্বনাশ! ঘরে আয়না রাখার নিয়ম-কানুন জানা আছে?


এই মাসের প্রথম সপ্তাহেই আরও একবার থমকে গিয়েছিল মট্রো পরিষেবা।  রবীন্দ্রসদন মেট্রোয় আত্মঘাতী হন এক যুবক। তার জেরে অফিসটাইমে পোহাতে হয় ব্যাপক ভোগান্তি। কিছুক্ষণের মধ্যেই হিমাংশু পুগালিয়া নামের ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মাঝে প্রায় একঘণ্টা ব্যাহত হয় পরিষেবা। আত্মহত্যার ঘটনায় আপ ও ডাউনে সাময়িকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মেট্রো পরিষেবা। নিউ গড়িয়া থেকে টালিগঞ্জ এবং সেন্ট্রাল থেকে দক্ষিণেশ্বর, কাটা রুটে চালাতে হয় মেট্রো। একঘণ্টার মাথায় মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। 


আবার নভেম্বরের শেষাশেষি, রবীন্দ্র সরোবর ও টালিগঞ্জ স্টেশনের মাঝে মেট্রোর সুড়ঙ্গে মিলেছিল দেহ। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তৈরি হয় রহস্য। এর জেরে অফিস টাইমে একঘণ্টা বন্ধ থাকে মেট্রো চলাচল। ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। মেট্রো-সুড়ঙ্গে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। 


 


 আগামীকালই কি প্রচণ্ড শীতে কাঁপবে বাংলা ? কী পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর ?