কলকাতা: শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনে দুর্ঘটনা।গতমাসেই শোভাবাজার মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা সামনে এসেছিল। এদিন ফের ডাউন লাইনে লাইনে ঝাঁপ দিয়ে এক যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, দমদম থেকে সেন্ট্রাল পর্যন্ত আপ ও ডাউন ২ লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১২ টা ৪৫ নাগাদ ডাউনগামী মেট্রো রেক যখন শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনে আসে, সেই সময় কিন্তু এক ব্যক্তি, সেই মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দেয়। ঘটনার পরেই এসে পৌঁছয় পুলিশ। ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে দেহ। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, ১২ টা ৪৫ মিনিটে এই ঘটনার পরে, একদিকে, কবি সুভাষ থেকে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন এবং দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত, পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে আপ ও ডাউন, দুইদিকেই পরিষেবার বন্ধ রয়েছে শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনে। কীভাবে এই ঘটনাটি ঘটল, খতিয়ে দেখছে কলকাতা মেট্রো।
সম্প্রতি আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল কলকাতা মেট্রো। মেয়ের হাত ছেড়ে চলন্ত মেট্রোর সামনে মরণঝাঁপ দিয়েছিলেন মা। অফিস টাইমে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে গিয়েছিল চাঁদনিচক মেট্রো স্টেশনে! পুলিশ সূত্রে খবর, বরানগরের বাসিন্দা ওই মহিলা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। প্ল্যাটফর্মে ঢোকার জাস্ট মুখটাতেই ওই ভদ্রমহিলা ওই বাচ্চাগুলোর হাত ছেড়ে দিয়ে ঝাঁপ দিয়েছিল। আর বিশাল চিৎকার করে উঠেছে ওই মহিলা, যে ঝাঁপ দিয়েছে। সঙ্গে বাচ্চাগুলোও চিৎকার করে উঠেছে। সন্তানের সামনেই মেট্রোয় মরণ-ঝাঁপ দিয়েছিলেন মা। ব্যস্ত অফিস টাইমে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে। আর পাঁচ দিনের মতোই স্কুল থেকে মেয়েকে নিয়ে ফিরছিলেন মা। কিন্তু একসঙ্গে আর বাড়ি ফেরা হয়নি দু'জনের।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, ঘড়ির কাঁটায় তখন ১০টা ৫৪ মিনিট। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী মেট্রো সবে প্ল্যাটফর্ম ঢোকার মুখে।কন্যা সন্তানের হাত ছেড়ে দিয়ে আচমকা সেই চলন্ত মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন মা। পুলিশ সূত্রে খবর, গুরুতর জখম অবস্থায় মহিলাকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, তাঁকে বাঁচানো যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শী বলেছিলেন, এই চিৎকার, একসঙ্গে আওয়াজ শুনেই আমরা হতচকিত হয়ে জাস্ট তাকিয়েছি ওঁর দিকে। আমি আবছা দেখতে পেয়েছি, মহিলা, জাস্ট ট্রেন ঢোকার আগের মুহূর্তটায় উনি পড়েছেন, তারপর ওঁর ওপর দিয়ে ট্রেন গিয়েছে।এই ঘটনার জেরে একঘণ্টারও বেশি ব্যাহত হয়েছিল মেট্রো চলাচল।
আরও পড়ুন, বাংলার বাড়ির তালিকায় পাকাবাড়ির মালিক ! পুলিশ ভেরিফিকেশনে বললেন, 'দুর্যোগ থেকে বাঁচতে করেছি'
পুলিশ সূত্রে খবর,আত্মঘাতী মহিলা রত্না দাস বরানগরের বাসিন্দা। তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলা শ্বশুরবাড়িতে থাকলেও, ইদানীং তাঁর সঙ্গে স্বামীর বনিবনা হচ্ছিল না। মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল কলকাতার পাইকপাড়া এলাকা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।