কলকাতা: মেট্রোয় ফিরল আগুন-আতঙ্ক। রবীন্দ্রসদন স্টেশনে নিউ গড়িয়াগামী (New Garia Metro) মেট্রোর রেকে ধোঁয়া। যাত্রী নামিয়ে খালি করা হল মেট্রোর রেক। ডাউন লাইনে মেট্রো (Kolkata Metro) চলাচল ব্যাহত। কী কারণে ধোঁয়া, চলছে পরীক্ষা। এই ঘটনায় কোনও যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেনি।


গত বছরের ডিসেম্বরেও কলকাতা মেট্রোয় বিভ্রাট হয়েছিল। সেবার প্রথমে রবীন্দ্র সরোবর এবং পরে রবীন্দ্র সদন স্টেশনে আটকে পড়ে মেট্রো। তার জেরে দক্ষিণেশ্বরগামী লাইনে মেট্রো চলাচল ব্যাহত হয় (Kolkata News)। সেবারও কাজের দিনেই বিভ্রাট হয়েছিল। সেদিন দুপুর ১টা নাগাদ দক্ষিণেশ্বরগামী একটি মেট্রো রবীন্দ্র সরোবরে পৌঁছতেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায়। কোনও রকমে সেটিকে ঠিক করে চালু করলেও, রবীন্দ্র সদনে পৌঁছে ফের বিকল হয়ে যায় রেকটি। তার জেরে আটকে পড়া মেট্রো থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়।  এই বিপত্তির জেরে প্রায় আধঘণ্টা ব্যাহত থাকে মেট্রো পরিষেবা। বিভিন্ন স্টেশনে ধরা পড়ে চরম ভোগান্তির ছবি। কালীঘাট, রবীন্দ্র সদন-সহ একাধিক মেট্রো স্টেশনে আটকে পড়েন বহু যাত্রী। কিন্তু, পরিষেবা শুরু হতেই বেঁধে যায় হুড়োহুড়ি। প্রায় দশ মিনিট সুড়ঙ্গে আটকে থাকার পর ব্যাটারির সাহায্যে বিকল রেকটিকে শ্যামবাজার স্টেশনে ফিরিয়ে আনা হয়। এর পর যাত্রীদের নামিয়ে ফাঁকা রেকটিকে নিয়ে যাওয়া হয় নোয়াপাড়া কারশেডে। মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছিল, থার্ড লাইনে বিদ্যুৎ‍-বিভ্রাটের কারণেই বিপত্তি। কী কারণে থার্ড লাইন থেকে বিদ্যুৎ‍ সংযোগে সমস্যা হচ্ছিল তা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল।


মেট্রোর পিলারে নীল-সাদা:
মেট্রোর পিলারকেও এবার নীল-সাদা করতে চায় কলকাতা পুরসভা (KMC)। মেট্রো রেলের (Metro Rail) পিলারকে নীল-সাদা করার আবেদন জানিয়ে মেয়রের চিঠি। মেট্রোর পিলারের রং নিয়ে রেল বিকাশ নিগমকে চিঠি কলকাতার মেয়রের । 'মেট্রোর পিলারের রং রাজ্যের থিম কালারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়'। রাজ্যের সৌন্দর্যায়নে সামিল হতে রেল বিকাশ নিগমের কাছে আবেদন পুরসভার। শহরের প্রায় সব সরকারি ভবনের রং নীল-সাদা। ফুটপাতের একাংশ থেকে রেলিংয়েও ফুটে ওঠে এই রং। আর এবার মেট্রো পিলারকেও নীল-সাদা করার ভাবনা। রাজ্যের থিম কালারের সঙ্গে যাতে সামঞ্জস্য থাকে তাই এই আবেদন পুরসভার।  এই বিষয়ে কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, "চিঠিটা হাতে পাওয়ার পর দেখতে হবে। মেয়রের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এ ব্যাপারে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়।''  

আরও পড়ুন: হৈমন্তীর একের পর এক বাড়ি-অফিসের হদিশ রাজ্যে, এবার বেহালায় ঝাঁ-চকচকে ফ্ল্যাট