ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী , কলকাতা :  হৈমন্তীর ( Haimanti Ganguly )  একের পর এক বাড়ি-অফিসের হদিশ রাজ্যে। হাওড়ায় ( Howrah )  বাপের বাড়ি, ডালহাউসিতে অফিস আর বেহালায় ফ্ল্যাট। হাওড়ায় বাপের বাড়ির পর এবার খোঁজ মিলল হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটের। বেহালায় হৈমন্তীর ফ্ল্যাটে এবিপি আনন্দ। বৃহস্পতিবার জানা যায় মুম্বইতে নরিম্যান পয়েন্টেও আছে হৈমন্তীর অফিস। 



কে কে থাকতেন ওই ফ্ল্যাটে ? প্রতিবেশীদের কথা থেকে জানা গেল, তাঁরা জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ অবধি এই ফ্ল্যাটেই থাকতেন। গোপাল দলপতি ( Gopal Dalapati )  ও হৈমন্তী দুজনে একসঙ্গেই থাকতেন ওই ফ্ল্যাটে। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের পর আর থাকেননি তাঁরা। কাউকে কখনও আসতে-যেতেও দেখা যেত না। যদিও গোপাল দলপতি আগে দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে গিয়েছেন, যোগাযোগ নেই। ওই মহিলার পরিবার অবশ্য দাবি করেন, তাঁদের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। 

আরও পড়ুন :


ফোন করে সাড়া মিলছে না, কোথায় গোপাল ? ছেলে - ছেলের বউকে নিয়ে মুখ খুললেন মা


নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ( Recruitment Scam )  সামনে এসেছে এক 'রহস্যময়ী নারী'র নাম। যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের মুখে, হৈমন্তী গাঙ্গুলি নামে এক রহস্যময়ীর নাম উঠে আসে। কে সেই 'হৈমন্তী'? কেন কুন্তল তাঁর নাম বললেন? কোথায় সেই রহস্য়ময়ী 'হৈমন্তী'? কুন্তলের দাবি, এই হৈমন্তী গাঙ্গুলি হলেন, গোপাল দলপতির স্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে খোঁজ মিলছে না গোপাল দলপতির। গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী-র নামে নথিভুক্ত মুম্বইয়ের এক সংস্থা সিরোকো পার্টনার্সের নাম।  সূত্রের দাবি, মুম্বইয়ের অভিজাত নরিম্য়ান পয়েন্টসেই না কি রহস্য়ময়ী হৈমন্তীর অফিস! সিবিআই সূত্রে দাবি, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় কোথায়? গোপাল দলপতিকে যখন এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, উত্তরে গোপাল দলপতি বলেন, তিনি জানেন না। কয়েক বছর আগেই স্ত্রী ছেড়ে চলে গেছেন। তাঁর কোনও ফোন নম্বরও তাঁর কাছে নেই।


এরপর থেকে এই রহস্যময়ীর খোঁজ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গোপাল দলপতি দাবি করেছেন, কুন্তলের মুখে তিনি কালীঘাটের যে কাকুর কথা শুনেছিলেন, তাঁর কাছে যেত নিয়োগ দুর্নীতির টাকা। অন্যদিকে, এবার কুন্তল ঘোষ দাবি করছেন গোপাল দলপতির স্ত্রীর কাছে যেত নিয়োগ দুর্নীতির টাকা। আর এর মধ্যেই, বুধবার গোপাল দলপতিকে তলব করেছিল সিবিআই। যদিও, হাজিরা দেননি তিনি। তার পর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না গোপাল দলপতিকে।