কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: আচমকা হামলায় চলে গেলেন জাপানের (japan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে (shinzo abe)। শোকস্তব্ধ ভারত। দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হয় এদিন। অর্ধনমিত ছিল জাতীয় পতাকা। বিশেষ করে মহানগরের মন ভার। কলকাতার (kolkata) সঙ্গে শিনজো আবের যোগ (connection) বহু পুরনো যে... 


পুরনো যোগাযোগ...
  গত বছর ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মবিভূষণে সম্মানিত করা হয়েছিল জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। ৬ মাস আগেই নেতাজি পুরস্কারেও ভূষিত করা হয়। ২০০৭ সালে কলকাতায় এলগিন রোডের নেতাজি ভবনে এসেছিলেন শিনজো। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অনুরাগী বলে রীতিমতো পরিচিত ছিলেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর চেয়ারম্যান সুগত বসুর কথায়, 'গত কাল খবরটা শোনার পর থেকেই শোকস্তব্ধ। ২০০৭-এ কলকাতায় এসেছিলেন। আমরা অভ্যর্থনা জানাতে গিয়েছিলাম।...ঠাকুর্দার মুখে নেতাজির কথা শুনেছিলেন উনি। বলেছিলেন নেতাজার দ্বারা প্রভাবিত হন। মিউজিয়াম ঘুরে দেখেন। ২০১৯-এ টোকিওয় শেষবার দেখা হয়েছিল। ওঁর স্ত্রীর সঙ্গেও দেখা হয়েছিল।' স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সুগত বসু আরও জানালেন, নেতাজি ভবনে রাখা 'ওয়ান্ডারার' গাড়িটার সামনে থমকে দাঁড়িয়েছিলেন শিনজো। এই গাড়িতেই মহানিষ্ক্রমণ ঘটেছিল সুভাষচন্দ্র বসুর, জানতেন জাপানের সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। 


খুনের ভয়াবহতা...
  সব মিলিয়ে স্মৃতিমেদুর কলকাতা। সম্ভবত সেই কারণেই ৫ হাজার কিলোমিটার দূরের জাপানে শিনজো আবের হত্য়ায় দুঃখ ও বিস্ময় একসঙ্গে ঘিরে ধরেছে মহানগরের বাসিন্দাদের। সুগত বসুর কথায়, 'নারা শহরটা  বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শহর। সেখানে এরকম ঘটনা...।' ঘোর কাটছে না তাঁর। জাপানের আগ্নেয়াস্ত্র আইন এমনিতেই কড়া। বিনা অনুমোদনে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়া কঠিন। তা সত্ত্বেও কী ভাবে ঘটল এমন? সূত্রের খবর, অভিযুক্ত যে দোনলা শটগান থেকে গুলি চালিয়েছে সেটি নিজের হাতে তৈরি করেছিল। তবে তার পরও ঘোর কাটছে না অনেকের। 
 বিশেষ করে কলকাতার। 


আরও পড়ুন:খুশখুশে কাশি, হাল্কা গলা ব্যথা, ভরসা রাখুন ঘরোয়া টোটকায়