Health Tips: অনেকেরই প্রায় সারাবছর হাল্কা একটা খুশখুশে কাশির সমস্যা দেখা যায়। সঙ্গে থাকে গলা ব্যথা। বিশেষ করে আবহাওয়া পরিবর্তন হলে এইসব সমস্যা বাড়তে পারে। এইসব রোগ এড়াতে ভরসা থাকুক ঘরোয়া টোটকায়। মোটামুটি সারাবছর কয়েকটা নিয়ম মেনে চললেই কিছুটা উপকার পাবেন আপনি। তবে শরীর বেশি অসুস্থ হলে কিন্তু অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক সারাবছর কী কী ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন আপনি।


গার্গল- হাল্কা উষ্ণ জলে গার্গল করুন। দিনে দু’বার নিয়ম করে এভাবে গার্গল করতে পারলে গলা ব্যথা, খুশখুশে কাশি এইসব সমস্যার সুরাহা হবে। সকালে এবং বিকালে একবার করে মোট দু’বার দিনে গার্গল করতে পারেন। খুব গরম জল ব্যবহার করবেন না। নুন মেশানোরও প্রয়োজন নেই। আর ভরা পেটে কখনই গার্গল করবেন না।


ভেজা চুল- স্নানের পর ভাল করে চুল শুকিয়ে নিন। নাহলে স্ক্যাল্পে জল বসে গিয়ে ঠান্ডা লাগতে পারে। ভেজা চুলে কখনই ঘুমাবেন না, অর্থাৎ বালিশে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়বেন না। এর ফলে ঠান্ডা তো লাগবেই, চুলেরও ক্ষতি হতে পারে। দুর্বল এবং আলগা হয়ে যেতে পারে চুলের গোড়া।


লেবু-মধু- যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁরা রোজ সামান্য মধু খেতে পারেন। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন গোটা গোলমরিচ। রোজ পাতিলেবু খেলেও ঠান্ডা লাগার সমস্যা কমে। ভিটামিন সি- তে ভরপুর পাতিলেবু স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল।


হাল্কা উষ্ণ জলে স্নান- মরশুম পরিবর্তন হলে এবং যাঁদের রাতে স্নান করার অভ্যাস রয়েছে, তাঁরা হাল্কা গরম জলে স্নান করুন। এর ফলে চট করে আপনার ঠান্ডা লাগবে না। বৃষ্টি ভিজলে অতি অবশ্যই বাড়ি ফিরে স্নান করে নিন হাল্কা গরম জলে। 


আদা-গোলমরিচ-মধু- সর্দিকাশিতে কড়া দাওয়াই আদা-গোলমরিচ আর মধু। তিনটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে অল্প করে রোজ খেতে পারেন। উপকার পাবেন।


আরও পড়ুন- বাতের ব্যাথায় কষ্ট পাচ্ছেন ? জানুন কীভাবে সাঁতারে মুক্তি পাবেন