কলকাতা: জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে কলকাতায় (Kolkata)। তাই এবার প্রাণহানি রুখতে সতর্ক কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। জল জমলেই এবার ত্রিফলা ও স্ট্রিট লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি (BJP)।


প্রাণহানি রুখতে সতর্ক কলকাতা পুরসভা: জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর সাক্ষী থেকেছে কলকাতা। তারপরও কোথাও বাতিস্তম্ভ থেকে বিপজ্জনকভাবে ঝুলছে বিদ্যুতের তার, কোথাও আবার পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন বক্স খোলা অবস্থায় পড়ে। দুর্ঘটনা এড়াতে এবার শহরে জল জমলেই ত্রিফলা ও স্ট্রিট লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। ইতিমধ্যেই ১৪৪ টি ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক প্রচার শুরু হয়েছে। ত্রিফলা ও স্ট্রিট লাইটের খোলা সুইচ বক্সে টেপ জড়ানোর কাজ চলছে। চিহ্নিত করা হয়েছে বৃষ্টির জল জমা এলাকাগুলিকে।


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যু শহরে: ২০২১-এর ১১ মে রাজভবনের নর্থ গেটের সামনে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের ইঞ্জিনিয়ার, মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ২৫ বছরের এক যুবকের। গতবছরের ২৬ জুন, হরিদেবপুরে জমা জলের মধ্যে ল্যাম্পপোস্ট হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রের। ২ জুলাই, নারকেলডাঙায় ল্যাম্প পোস্টে হাত লেগেই অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু হয়। ঠিক ৩ দিন পর, ৫ জুলাই, ট্যাংরায় নিজের দোকানের সামনে লাইট পোস্টে হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক ব্যবসায়ীর। সেইসব বিপদ এড়াতে জল জমলে এলাকায় রাস্তার আলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। এপ্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, “পুরসভা এসব আটকাতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে। যেখানে সেখানে ত্রিফলা। প্রতি বছর মানুষ মারা যায়।খেতে দিতে পারছে না কারেন্ট খাইয়ে মারছে।’’

পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতায় বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ রয়েছে। স্ট্রিট লাইট রয়েছে কয়েক লক্ষ। পাশপাশি হাই মাস লাইট রয়েছে ১৩০টি। বিপদ রাতে আলো বন্ধ করে দুর্ঘটনা বা ছিনতাই এর মত নতুন কোন বিপদ ডেকে আনছে না তো পুরসভা। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: Scrub Typhus : মাকড়ের কামড় ! সময় থাকতে চিকিৎসা না হলেই প্রাণঘাতী হতে পারে স্ক্রাব টাইফাস