অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: মানুষের সমস্যার কথা শুনতে অভিনব উদ্যোগ। কাউন্সিলর স্টেশন (Councillor Station) চালু করলেন কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে (Biswarup Dey)। তিনি জানিয়েছেন, এবার আর তাঁর কাছে আসতে হবে না, এলাকাবাসীর কাছেই ছুটে যাবেন তিনি।


রেল স্টেশন (Railway Station) তো আছে। কিন্তু, তাই বলে কাউন্সিলর স্টেশন (Councillor Station)? হ্যাঁ, তাও আছে বৈকি। রয়েছে টাইম টেবিলও। কলকাতা পুরসভার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে গেলে দেখতে পাবেন এমনই স্টেশন। নাগরিক পরিষেবা নিয়ে কোনও দাবি জানানো হোক কী, কোনও শংসাপত্র পাওয়ার আবেদন। প্রতিদিনই নানা কারণে বহু মানুষকে ছুটতে হয় কাউন্সিলরের কাছে। এতে ভিড়ও হয়ে যায় বেশ। করোনাকালে সেই ভিড় এড়াতেই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। সমস্যা নিয়ে আর ছুটে যেতে হবে না কাউন্সিলরের দরজায়, খোদ কাউন্সিলরই পৌঁছে যাবেন মানুষের দুয়ারে। নিজের ওয়ার্ডজুড়ে মোট ১৮টি কাউন্সিলর স্টেশন ও ২টি কাউন্সিলর জংশন তৈরি করেছেন তিনি। এইসব স্টেশনে কোথায়, কখন বসবেন, তৈরি হয়েছে তার টাইম টেবিলও। শুরু হয়েছে তার পথচলা। কাউন্সিলরের এই উদ্যোগে খুশি ওয়ার্ডবাসীও।


এদিকে বর্ষায় কলকাতায় জমা জলের দুর্ভোগ দূর করতে উদ্যোগ নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক বা ADB থেকে ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া রাজ্য সরকার দেবে ১৫৩ কোটি টাকা। মৌলালি থেকে পামার বাজার পর্যন্ত পলি সংস্কারের জন্য খরচ করা হবে এই টাকা। গতকাল তিনি বলেন, “১২৮ ও ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ২০২২ সালের মধ্যে কাজ শেষ হবে, ৭৬টি পাম্প বসানো হবে, বডি গার্ড লাইন্সে পাম্পিং স্টেশনে ৬টা পাম্প জার্মানি থেকে আনা হয়েছে, একবালপুরেও জমা জল আটকানো যাবে, বেহালার অনেক জায়গাতেও সমস্যা থাকবে না।’’


আরও পড়ুন: Maynaguri Train Accident: ময়নাগুড়ির ট্রেন দুর্ঘটনায় জিআরপি'র জেরার মুখে চালক, রেকর্ড হল বয়ান