কলকাতা : শেষ পর্যন্ত পুরভোটে মুখ্যমন্ত্রীর ওয়ার্ডে কাটল নির্দল কাঁটা। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থীর । মনোনয়ন দাখিলের ৪৮ ঘণ্টা পরেই প্রত্যাহার। ভুলস্বীকার করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার রতন মালাকারের। নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন দু’দশকের তৃণমূল কাউন্সিলর । ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতার এই ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে অসন্তোষ ছিল তৃণমূলে। মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ার ওয়ার্ডেই শাসকদল ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হন ২০ বছরের তৃণমূলের কাউন্সিলর রতন মালাকার। বুধবার আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন, দীর্ঘদিনের শাসকদলের এই কাউন্সিলর। এবার ৩৯ জন বিদায়ী কাউন্সিলরকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদেরই একজন রতন মালাকার। তাঁর পরিবর্তে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন :
প্রাসাদ পেলেও এই দু’কাঠা চেতলার বাড়িতেই থাকব, ভোটের ময়দানে নেমে বললেন কলকাতার বিদায়ী মেয়র
তাতেই চটে যান রতন। বলেন, ' আমায় কেন সরাল জানি না। লোকে চাইছিল তাই দাঁড়ালাম। এতদিন তৃণমূলের সঙ্গে ছিলাম।' এই মন্তব্য শুনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'ডেকে বোঝাবো ওকে...কেন দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছে...শুধু রতন নন, যে যে দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছে, তাদের বোঝাব'
এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে সরব হয় বিজেপি। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী বা বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল নেতা রতন মালাকার, কারওর বক্তব্যকেই গুরুত্ব দিতে নারাজ ছিলেন এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী। তিনি বলেন, 'মমতা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই জন্যই প্রার্থী হয়েছি। স্বাধীন দেশে যে কোনও জায়গায় দাঁড়াতে পারে। মানুষ মমতাকে দেখেই ভোট দেবেন'
কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল, বিজেপি, নির্দল ছাড়াও বামেদের প্রার্থী সিপিএমের মধুমিতা দাস। অন্যদিকে কংগ্রেস এখানে প্রার্থী করেছে প্রবীর পালকে।
.
.