কলকাতা: কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Election 2021) ১৬টি বরোর ১৪৪টি ওয়ার্ডে আজ ভোটগ্রহণ (Election)। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কলকাতাজুড়ে আটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতি ঘণ্টায় রিপোর্ট দেওয়ার জন্য DGP ও CP-কে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) সূত্রে খবর, মোট ৪ হাজার ৯৫৯টি বুথের মধ্যে ১ হাজার ১৩৯টি বুথ উত্তেজনাপ্রবণ। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৭৮৬। এর মধ্যে চিনাপাড়া, পার্কস্ট্রিট, ধাপা ও লাগোয়া এলাকা নিয়ে গঠিত ৭ নম্বর বরোয়, সবচেয়ে বেশি, ২৫০টি উত্তেজনাপ্রবণ বুথ রয়েছে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম উত্তেজনাপ্রবণ বুথ রয়েছে বেহালা, তারাতলা-সহ আশেপাশের এলাকা নিয়ে গঠিত ১৩ নম্বর বরোয়। সেখানে উত্তেজনাপ্রবণ বুথের সংখ্যা ২২।
কলকাতা পুরসভার ভোটে মোতায়েন থাকছে সাড়ে ২৩ হাজার পুলিশ। তার মধ্যে ৫ হাজার রাজ্য পুলিশের কর্মী। তার মধ্যে ১০ জন জয়েন্ট সিপি পদমর্যাদার অফিসার। ডেপুটি কমিশনার থাকবেন ২৬ জন। ৭১ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার থাকবেন। ভোটের দিন শহরের ২০০টি জায়গায় থাকছে পুলিশ পিকেট। জলপথেও রিভার পেট্রোলিং চলবে ৬ জায়গায়। RFS ও RT মোবাইল দিনে-রাতে মিলিয়ে থাকবে ৭২টি। HRFS থাকবে ৩৫টি। থাকবে ১৮টি স্পেশাল ক্যুইক রেসপন্স টিম। বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বিধাননগর ও হাওড়া কমিশনারেট, বারুইপুর ও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলাকে।
এদিকে ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে গড়িয়ার ব্রিজি এটি নস্কর হাইস্কুলে সিপিএম এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে সিপিএম প্রার্থী তনুশ্রী মণ্ডল এসে এজেন্টকে বুথে বসিয়ে দিয়ে যান। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বেলেঘাটায় ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে খন্না হাইস্কুলে বুথের সিসি ক্যামেরা ঢেকে রাখা ও কমিশনের ক্যামেরা বাইরের দিকে লাগানোর অভিযোগ বামেদের। দাবি, সিসি ক্যামেরা স্কুলের, তাই ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ভোট শুরুর আগেই ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে শিয়ালদায় টাকি স্কুলের কাছে উত্তেজনা। কংগ্রেস এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা, মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিক্রিয়া মেলেনি শাসক দলের।
পুরভোটের নিরাপত্তায় হাইকোর্টের নির্দেশ না মানার অভিযোগ। কলকাতা পুরসভার ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দীপেন্দ্রমণি ত্রিবেদীর অভিযোগ, তারাতলা সংলগ্ন গড়াগাছা এলাকার অধিকাংশ বুথেই নেই সিসি ক্যামেরা। কোথাও সিসি ক্যামেরা বুথের বাইরের দিকে লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন বিজেপি প্রার্থীর। একই অভিযোগ বামেদেরও। নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।