উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: এলাকার বধূ, আইনজীবী (Advocate)। রেড ভলান্টিয়ার্স (Red Volunteers) হয়ে মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ার পর, তাঁর আলাদা পরিচিতি। তৃণমূলের (TMC) গড় ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডে, মিথ ভাঙার লক্ষ্যে বামেদের (CPM) বাজি তরুণ মুখ প্রিয়া রায়।


উচ্চ মাধ্যমিক পড়তে পড়তেই বিয়ে। সংসারের ব্যস্ততার ফাঁকেই আইনের পাঠ। পুরোদস্তুর আইনজীবী হয়ে ওঠা। শুরু থেকেই বামেদের প্রতি সমর্থন থাকলেও, নিয়মিতভাবে তাঁর কখনও মিটিং-মিছিলে হাঁটা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু, করোনার সময়, সেই প্রিয়া রায়ই, মানুষের পাশে থাকার তাগিদে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কাঁধে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে দৌড়ানো। নিরন্নর মুখে খাবার তুলে দেওয়া।


এবার কলকাতা পুরভোটে (Kolkata Municipality Vote) বামেদের প্রার্থী তালিকায় রেড ভলান্টিয়ার আছেন ৪৩ জন। সেই ব্রিগেডেরই অন্যতম প্রিয়া। ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডে এবার তিনি বামেদের বাজি।


কলকাতা পুরসভা ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী প্রিয়া রায় বলছেন, মানুষের ঘরে মনে, মনের ঢোকার চেষ্টা করছি। বলছি জল যন্ত্রণার কথা। পাড়ার মেয়ে হিসেবে কাজ করতে পারব বলে আশা।


একটা সময় প্রিয়া রায় ছিলেন পাড়ার মেয়ে। তারপর নাম-ডাক হয়েছে আইনজীবী হিসেবে। সেসব ছাপিয়ে রেড ভলান্টিয়ার পরিচয় তাঁকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে। ভোটের বাক্সে কি তার সুফল মিলবে?


প্রিয়ার কথায়, রেড ভলান্টিয়ার্স হিসেবে ঘরে ঘরে কাজ করেছি। জিততে পারলে শ্রমজীবী ক্যান্টিন করব, কেউ যেন অভুক্ত না থাকে।
সকালে একপ্রস্থ প্রচার শেষে, বাড়িতে ফিরে শ্বশুর, শাশুড়ি স্বামীকে খাওয়ানো। সন্ধেয় প্রচার সেরে কোনওদিন অল্প খান, কোনওদিন ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েন। যে ওয়ার্ডে প্রিয়া এবার প্রার্থী, তা বামেদের পক্ষে অনুকূল নয়। সেই ২০০৫ থেকে ১২৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে।


বিধানসভা ভোটের নিরিখে, এই ওয়ার্ডে ১ হাজার ৮২০ ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল।কিন্তু, তাতে বিন্দুমাত্র দমতে নারাজ বাম যোদ্ধা প্রিয়া। পুরযুদ্ধে পুরোদস্তুর ময়দানে তিনি।