কলকাতা : গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে কর্পোরেট কর্তা ও তাঁর গাড়ি চালকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। এরমধ্যেই কলকাতায় ঘটে গেছে বেশ কয়েকটি রোমহর্ষক খুনের ঘটনা ! টার্গেট হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষিকা! গ্রেফতার প্রাক্তন গাড়িচালক।
গত ২ নভেম্বর শেক্সপিয়র সরণি থানার, থিয়েটার রোডের এই অভিজাত আবাসনের ১০তলার ঘরে উদ্ধার হয়। একানব্বই বছরের বৃদ্ধার রক্তাক্ত মৃতদেহ। নাম রেণুকা চৌধুরী। জানা যায়, থিয়েটার রোডে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকাকে খুন করে গয়না হাতানোর ছক কষে তাঁরই বাড়ি থেকে বহিষ্কৃত গাড়িরচালক দুধকুমার।
শুধু এই দুটি ঘটনা নয়, এরই মধ্যে শহর কলকাতার বুকে বেশ কয়েকটি খুনে ঘটনা ঘটে গেছে। আবারও এক মহিলার রহস্য মৃত্য। গড়ফা থানা এলাকায় একটি ফ্ল্যাটবাড়ির ছাদ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গড়ফার ১৪ নম্বর কালীতলা রোডের বাসিন্দা, মৃত রুমা ঘোষ পরিচারিকার কাজ করতেন। যে ফ্ল্যাটের ছাদে তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়, সেই ফ্ল্যাটের এক আবাসিকের কাছে তিনি পরিচারিকার কাজ করতেন।
আরও পড়ুন:
৩ মাস ধরে বাবার মৃতদেহ আগলে ছেলে! ঘর থেকে উদ্ধার কঙ্কালসার মৃতদেহ | Bangla News
সূত্রের খবর, ওই আবাসিকের থেকে রুমা বেশ কয়েক হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন, সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে মৃতের পরিবারের দাবি। ঘটনায় মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগ করেছে।
তবে ফ্ল্যাটের মালিকের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
অন্যদিকে এই মাসেই, গৃহবধূকে বিষ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল মালদার ভূতনির গোমানিটোলা গ্রামে।পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতের স্বামী পিন্টু মিঞা ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মৃতের নাম বাবলি খাতুন। বধূর বাবার অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই জামাই বাড়ি তৈরির জন্য টাকা আনতে চাপ দিচ্ছিল মেয়ের ওপর। কিছু টাকা তাঁরা দিয়েছিলেন। তারপরও টাকা না পেয়ে মেয়েকে খুন করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। শুক্রবার বাবলির গোঙানির শব্দে শ্বশুরবাড়ির আশপাশের লোকেরা ছুটে আসেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি।