পার্থপ্রতিম ঘোষ, হিন্দোল দে, কলকাতা: সাতসকালে শহরের প্রাণকেন্দ্রে জোড়া খুনে চাঞ্চল্য ছড়াল। গড়িয়াহাট থানার কাঁকুলিয়া রোডে বাড়ির মধ্যে থেকে জোড়া দেহ উদ্ধার ঘরে উত্তেজনা কাটল। জানা গেছে, রক্তাক্ত দেহ দুটি বাড়ির মালিক ও তাঁর চালক। মৃত ২ জনের নাম সুবীর চাকি ও তাঁর চালক রবীন মণ্ডল।
পুলিশ সূত্রে খবর, কাঁকুলিয়া রোডে ওই পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির কথা চলছিল। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ নিউটাউনের বাড়ি থেকে কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে আসেন বছর একষট্টির প্রৌঢ় ও তাঁর গাড়িচালক। সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে আলোচনার জন্য ফোনে কাউকে ডাকা হয়। সন্ধে থেকেই মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায় প্রৌঢ় ও গাড়িচালকের। পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশী ও গড়িয়াহাট থানায় বিষয়টি জানান।
আরও পড়ুন :
বালিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে জওয়ানের রহস্যমৃত্যু, জঙ্গল থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
এরপরই পুলিশ এসে একতলা থেকে মালিক ও দোতলা থেকে চালকের দেহ উদ্ধার করে। দেহদুটির ঘাড়, কবজি ও পায়ে গভীর ক্ষত ছিল। খুনের নেপথ্যে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তে নেমেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখাও।
আরও পড়ুন :
আগামী সপ্তাহে শুধুমাত্র কোনদিন ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে?
গত ১৫ অক্টোবর বালিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে জওয়ানের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ক্যাম্পের জঙ্গল থেকে গলায় তার জড়ানো অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম অশোক গারাগাদ। বাড়ি কর্ণাটকে। গতকাল রাতে সেনা ক্যাম্পের জঙ্গল থেকে ওই জওয়ানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ। দেহের কাছ থেকে মেলে হিন্দিতে লেখা সুইসাইড নোট। পুলিশ সূত্রে খবর, বছর ছত্রিশের ওই জওয়ানের উত্তরবঙ্গে কর্মরত ছিলেন। বদলির পর ৫ অক্টোবর কলকাতায় আসেন। সুইসাইড নোটটি কার লেখা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরদিনই আবার বরানগরে লেক ভিউ পার্ক এলাকায় অভিজাত আবাসনের সামনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।