আবির দত্ত, সুদীপ চক্রবর্তী ও সুজিত মণ্ডল, কলকাতা: খাস কলকাতার (Kolkata) নিউ মার্কেটে (New Market) চাঁদার জুলুম। আক্রান্ত হলেন নিউ মার্কেট থানার অ্য়াডিশনাল ওসি, এসআই ও হোমগার্ড। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে চাঁদা নিয়ে বচসার জেরে আক্রান্ত হলেন এক পুলিশকর্মী (Police)। অন্য়দিকে, নদিয়ার শান্তিপুরে চাঁদা দিতে না পারায় এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠল। 

  


কলকাতা থেকে জেলা নানা জায়গায় চাঁদার জুলুম। খাস কলকাতায় আক্রান্ত হল খোদ পুলিশই। জেলার কোথাও আক্রান্ত হলেন পুলিশকর্মী, কোথাও চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, রবিবার রাতে নিউ মার্কেটের বনধু মহল ক্লাবের সদস্যরা একটি লরিকে দাঁড় করিয়ে ৫ হাজার টাকা চাঁদা চান। লরি চালক চাঁদা দিতে না চাইলে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, নিউ মার্কেট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে, তাদের উপর চড়াও হন ক্লাব সদস্যরা। 


পুলিশকে মারধর ও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। আহত হয়েছেন নিউ মার্কেট থানার অ্য়াডিশনাল ওসি, এসআই ও হোমগার্ড। ঘটনার পর রাতভর ধরপাকড় চলায় পুলিশ। ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে চাঁদা নিয়ে বচসার জেরে আক্রান্ত হয়েছেন খোদ মহকুমা শাসকের নিরাপত্তারক্ষী। 


অভিযোগ, রায়গঞ্জের কালীবাড়ির বাসিন্দা পুলিশকর্মী নন্দ মণ্ডলের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা চান স্থানীয় বিপ্লবী ক্লাবের সদস্যরা। ২ হাজার টাকা চাঁদা ও মন্দির করার সময় কিছু টাকা দেবেন বলে ক্লাবের সদস্যরা জানান তিনি। অভিযোগ, দাবি মতো চাঁদা না পেয়ে ক্লাবের কিছু মত্ত সদস্য ওই পুলিশকর্মীর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় ও তাঁকে মারধর করে। 


কর্ণজোড়া ফাঁড়ির ঘটনাস্থলে পৌঁছসে পুলিশের উপরও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত পুলিশকর্মী নন্দ মণ্ডল বলেন, 'মদ খেয়ে এসে চাঁদা চায়। আমি এসডিও স্যারকে জানাই। পুলিশের ভ্যান এসেছিল। আমি যাই। পিছন থেকে কিছু লোক এসে স্যারের সামনেই আমাকে লাথি ঘুষি মেরেছে।'   


আরও পড়ুন, প্রেসিডেন্সি জেলে পার্থর পাশে জ্যোতিপ্রিয়, মাটিতেই শুতে হচ্ছে মন্ত্রীকে


নদিয়ার শান্তিপুরে চাঁদা দিতে না পারায় এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠল। স্থানীয় একটি বারোয়ারি পুজো কমিটির সদস্যরা চিকিৎসক সুজন দাসের কাছে চাঁদা চান। কাছে টাকার ব্যাগ না থাকায় চাঁদা দিতে পারেননি তিনি। বচসা শুরু হলে তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।  


আক্রান্ত চিকিৎসক সুজন দাস বলেন, 'ঘোষ পাড়ায় ৮টা ২০ বাজে। তখন কিছু লোক আমার পথ আটকায়। আমি চাঁদা দিতে পারছিনা। ওদের বললাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলে আয় দিচ্ছি। আমার বাইকের চাবি খুলে নিল। ফোনটা নিতে গেছে। আমি বাধা দিয়েছি। আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল।' 


পুজো উদ্যোক্তা নিন্টু ঘোষ বলেন, 'কিছুই হয়নি। উনি আসছিল। ছেলেরা চাঁদা তুলছিল। ওনাকে চিনতে পারেনি ডাক্তার। ওনাকে দাঁড়াতে বলছিল। দাঁড়াননি। তারপর ছেলেরা দাঁড় করিয়েছে। ওনাকে জোর করা হয়নি।' 


চিকিৎসকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।