কলকাতা: পুরভোটের আগে জেলায় বাম-বিজেপি সখ্য নিয়ে নানা জল্পনা সামনে আসছিল। এ বার কলকাতা পুরসভার অন্দরে সেই ছবি ধরা পড়ল। সোমবার কলকাতা পুরসভায় শপথ (KMC Councillors Oath Taking) নেন ১৮ জন নবনির্বাচিত কাউন্সিলর। সেখানে দু’তরফের কাউন্সিলররাই পরস্পরের প্রতি সৌজন্য দেখান।


এর আগে, শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় ১২৬ জন নবনির্বাচিত কাউন্সিলর শপথ নেন। সোমবার শপথ নেন ১৮ জন। এর মধ্যে ছিলেন ৯২ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিআই-এর (সিপিআই) বিজয়ী কাউন্সিলর মধুছন্দা দেব (Madhuchanda Deb) এবং ৫০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজয়ী বিজেপি (BJP) কাউন্সিলর সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)।


কিন্তু শপথবাক্য পাঠের আগে অন্য বিজয়ীদের সঙ্গে সটান মধুছন্দার সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছন সাগর। সেখানে সৌজন্য বিনিময় করেন দু’জনে। সজল জানান, মধুছন্দা দীর্ঘ দিনের কাউন্সিলর। তাঁর কাছ থেকে কাজ শিখতে চান তিনি। কেউ কাজ শিখতে চাইলে, তাঁর শেখাতে আপত্তি নেই বলে জানান মধুছন্দাও।


আরও পড়ুন: West Bengal Municipal Election: রাজ্যের চার পুরসভায় ভোট ২২ জানুয়ারি, চালু হয়ে গেল আদর্শ আচরণবিধি


এ দিন মধুছন্দার প্রশংসাও করতে দেখা যায় সজলকে। এবিপি আনন্দকে তিনি বলেন, “এখানে বাম-ডানের কোনও ব্যাপার নেই। এক জন মানুষ দীর্ঘ দিন দায়িত্বের সঙ্গে নিজের কাজ করে চলেছেন। দলের রাজনৈতিক অস্তিত্ব যেখানে প্রশ্নের মুখে, সেখানে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে জিতে আসছেন তিনি। মানুষটির নিজে কৃতিত্ব না থাকলে, তা সম্ভব নয়। ওঁকে অসম্ভভ শ্রদ্ধা করি আমি। উনি বহু দিন ধরে কাউন্সিলর রয়েছেন। আমার এই প্রথম বার। ওঁর কাছে কাজ শিখতে চাই আমি।”


ভোটের ময়দানে পরস্পরের প্রতিপক্ষ হলেও পুরসভার অন্দরে দলাদলি থাকা উচিত নয়, সকলে মিলে মানুষের স্বার্থে এবং উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন সজল। সে ক্ষেত্রে বাম শিবিরের কাউন্সিলরদের পাশাপাশি তৃণমূল কাউন্সিলরদের সাহায্যও কি নেবেন তিনি? সজলের জবাব, “যাঁরা রুমালে মুড়ে টাকা নিয়েছেন, তাঁদের বাদ দিয়ে আর সবার থেকে শিখব।”


নারদকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে ভাবী মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেই সজল বিঁধেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মঙ্গলবার কলকাতার মেয়র হিসেবে শপথ নেবেন ফিরহাদ। কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন হিসেবে শপথন নেবেন মালা রায়ও। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেখানে ‘বিজেমূল’ তত্ত্ব নিয়ে মাঠে নামা বামেদের প্রতি গেরুয়া শিবিরের এমন নরম অবস্থান নিয়ে নানা জল্পনা উঠে আসছে।