কলকাতা:  প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পেতে একাধিক শর্ত কেন্দ্রের। কেন্দ্রের শর্ত মানার জন্য পঞ্চায়েতের উপর শর্ত চাপাচ্ছে রাজ্য (West Bengal)। ‘কারা প্রকল্পের প্রকৃত দাবিদার ? ঠিক করতে হবে গ্রাম সভার বৈঠকে’, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে পঞ্চায়েত কড়া নির্দেশ রাজ্য সরকারের (WB Govt)। কেন্দ্রের ৮ হাজার ২০০ কোটি বরাদ্দ, তৈরি হবে ১১ লক্ষ বাড়ি। 


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে বড় খবর।  প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যকে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যকে এবিষয়ে জানানো হয়েছে। ৮ মাস বন্ধ থাকার পর কেন্দ্র এই প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ করল । কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বন্ধ করা নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে চালু করা হয়, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (PMAY) হল ভারত সরকারের একটি  প্রকল্প যার মাধ্যমে সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রদান করা হয় । কখনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল, তো কখনও কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ! এই নিয়ে কখনও প্রধানমন্ত্রী, তো কখনও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরই  কেন্দ্র টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম বদলে বাংলা বাড়ি নাম দিয়ে রাজ্য সরকার প্রচার করে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। এমনকি সম্প্রতি, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে CBI তদন্তের দাবিতে, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। 


আরও পড়ুন, 'উনি অত্যন্ত ভাল অভিনেতা', মিঠুনের মহাজোটের বার্তার পর মন্তব্য শমীক লাহিড়ির


এই প্রেক্ষাপটেই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চাহিদা মতো সার ও ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার বিষয়ে, রাজ্যের পাশাপাশি বিরোধীরাও কেন্দ্রের কাছে দরবার করুন।মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বলেন, রাজ্যকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার বিষয়ে, রাজ্যের পাশাপাশি বিরোধীরাও কেন্দ্রের কাছে দরবার করুন। বিধানসভায় এই আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে কেন্দ্রকে বারবার অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দেওয়ার জন্য, নাম না করে বিরোধী দলনেতাকেও নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, চাহিদা মতো সার ও ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার বিষয়ে, রাজ্যের পাশাপাশি বিরোধীরাও কেন্দ্রের কাছে দরবার করুন।  সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ' আমরাও অনেক দিন বিরোধী রাজনীতি করেছি। কিন্তু কোনওদিন উন্নয়নকে স্তব্ধ করিনি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, পুরো রাজ্যের টাকা, তা নিয়েও চিঠি লিখেছে, যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা মিস ইউজ করছে, কোথা থেকে এল? আর এরা হচ্ছে, শুধু বদনাম করতে পারে। '