কলকাতা: আজকে টানা দুই দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে টানা সাড়ে ৬ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর বেরিয়েই এদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের যুবরাজ। আর এমনই দিনে বিস্ফোরক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি (Adhir Chowdhury) ।
এদিন অধীর চৌধুরি বলেন, 'দিদি-মোদি সেটিং হয়ে গেছে, ভাইপোর ভয় পাওয়ার কিছু নেই, ভাইপোকে মিস্টার ক্লিন সাজিয়ে আবার ময়দানে নামার চেষ্টা।'প্রসঙ্গত, কয়লাকাণ্ডে ২০২১ সালে সেপ্টেম্বরেও অভিষেককে তলব করা হয়েছিল দিল্লি থেকে। সেবার বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, কয়লাপাচার মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে ফাঁসি মঞ্চে নিজেই মৃত্যুবরণ করবেন। আর বছর ঘুরে গঙ্গায় অনেক জল বয়ে গেলেও নিজের বক্তব্য থেকে তিনি যে সরছেন না, সেটাই মনে করালেন এদিন তিনি। অভিষেকের কথায়, 'আমি দুইবছর আগে স্টেটমেন্ট দিয়েছি, আমার সঙ্গে বিন্দুমাত্র কোনওরকম যোগসূত্র, যদি এই কেলেঙ্কারির মামলায় পায়, বা প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, যে ৫ পয়সাও আমি এখান থেকে নিয়েছি, তাহলে ইডি-সিবিআই-র দরকার নেই।একটা মঞ্চ তৈরি করবেন ফাঁসির, আমি মৃত্যুবরণ করব। আমি আজও একই কথা বলছি।'
মূলত কয়লাপাচার কাণ্ডে গতবছরও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব করা হয়। পাশাপাশি তলবের তারিখ রাখা হয় তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। এদিকে ছোট বাচ্চা নিয়ে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয় বলে মেলও করা হয় রুজিরার তরফে। কেন কলকাতার অফিসে জেরা নয় ? এনিয় প্রশ্ন তুলে দেশের শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে অভিষেক। এবং সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কলকাতার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরেই তলবের নির্দেশ দেয়। যদিও একাধিকবার তলবের ইস্যুতে, অভিষেক গতবছর বলেছিলেন, এটা 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু নয়।' তবে সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশে মেনেই এবার তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে অভিষেকের তলবের দিনেই বিস্ফোরক ইঙ্গিত সুকান্ত মজুমদারের। এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'কোনও বোঝাপড়া নেই, সেটা প্রমাণিতও হয়েছে। জেলে গেছে পার্থ-কেষ্ট, বোঝাপড়া থাকলে এরা জেলে যেত না। আগামীদিনে আরও কিছু যাবে বলে মনে হচ্ছে। আজকেই বড় কিছু ঘটতে পারে।'